ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে ৭ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে তিনজন নারী এবং তারা পতিতাবৃত্তিতে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজ্যটির সুরাট শহর থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুরাট পুলিশ বুধবার তিন নারীসহ সাত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা শহরের বিভিন্ন স্পা-তে কাজ করত এবং দেহব্যবসায় জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, নির্দিষ্ট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সুরাট প্রিভেনশন অব ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্যরা এবং পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের কর্মকর্তারা শহরের উধনা এলাকা থেকে সাতজন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃত এই অভিবাসীরা জাল নথি তৈরি করেছিল এবং গত দুই বছর ধরে সুরাটে ছিল।
পুলিশ বলছে, বাংলাদেশিদের সুরাটে চাকরি পেতে সহায়তাকারী মূল এজেন্ট গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের মধ্যে রয়েছে। তিনি প্রতিটি ব্যক্তির কাছ থেকে কমিশন হিসাবে ৯০ হাজার রুপি করে নিতেন।
পুলিশ পরিদর্শক আরএস সুভেরা বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। এজেন্ট এই অবৈধ অভিবাসীদের খারাপ আর্থিক অবস্থা জানতেন এবং তাদের পরিবারকে রোজগারের জন্য সুরাটে পাঠাতে রাজি করান। এই অবৈধ অভিবাসীদের কলকাতা থেকে ট্রেনে করে সুরাটে আনা হয়েছিল। আরও একজন অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে এবং তাকে ধরতে তল্লাশি চলছে।’
অভিযুক্তদের কাছ থেকে জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড, বাংলাদেশি পাসপোর্টের ফটোকপি, বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্ম সনদের মতো নথিগুলো জব্দ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫ ধারা (জালিয়াতি), ৪৬৭ ধারা (নিরাপত্তা জালিয়াতি), ৪৬৮ ধারা (প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি) এবং ৪৭১ ধারার (প্রকৃত নথি হিসেবে জাল রেকর্ড ব্যবহার) অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া পাসপোর্ট অ্যাক্ট এবং ফরেনার্স অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারার অধীনেও অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।