২৪০০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার এবং ২৪ মেগাওয়াটের বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর সহ চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্মাণাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে ফেনীর সোনাগাজীতে সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
২৪০০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার এবং ২৪ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি) এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম পর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ফেনীর সোনাগাজীতে ২১.১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮৬.৪৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।
বর্তমানে ৭৪৬.৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ফেনীর সোনাগাজীতে ৭৫ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৬২১ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে।
চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলা এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর' স্থাপনের কাজ চলছে। প্রধানত এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকে গুরুত্ব দিয়ে সোনাগাজীর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ইজিসিবির নির্বাহী পরিচালক মোঃ নাজমুল আলম বলেন, ফেনীর সোনাগাজীতে ইজিসিবির ১০০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা আছে। এই ভূমিতে ৭৫ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। এখন নতুন করে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিরো এশিয়া সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ১০০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ভূমি অধিগ্রহণ করা হলে নির্মাণকাজ শুরু হবে। একই ভূমি অধিগ্রহণের পর ২৪ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজও শুরু হবে। বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে এখন সমীক্ষার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে সময় লাগবে। কারণ সরকারের অগ্রাধিকার অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে চারটি কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
ইজিসিবির কর্মকর্তারা জানান, বায়ু বিদ্যুতে সফল হতে এবার যথাযথভাবে সমীক্ষা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ সোনাগাজীতে আগে সৌর বিদ্যুতের প্রকল্প নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি।
২০০৫ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সোনাগাজীতে মুহুরি নদীর ধারে বাঁধের কাছে ০.৯ মেগাওয়াটের একটি বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে। এর তিন বছর পর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ১ মেগাওয়াটের একটি বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।
যদিও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তদারকির অভাবে দুটি প্ল্যান্টই এখন নিষ্ক্রিয় পড়ে আছে।
এদিকে ভূমি অধিগ্রহণের প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী রোববার পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, আগামী বছরের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।