জড়িত শীর্ষ কমান্ডারের এটি চতুর্থ হত্যাকাণ্ড। কর্মকর্তারা বলেছেন, রিয়াজ আহমেদ ওরফে আবু কাসিম নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে জড়িত, সে ১ জানুয়ারী ধানগরি সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ছিল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর মতে, রাজৌরি জেলার ধংরি গ্রামে জঙ্গি হামলা ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণে সাতজন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছিলেন। জঙ্গিরা বিস্ফোরক রেখে গিয়েছিল যা পরের দিন সকালে বিস্ফোরিত হয়। আহমেদ, মূলত জম্মু অঞ্চলের বাসিন্দা, সে ১৯৯৯ সালে সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশ করেছিল।
কর্মকর্তারা বলেছেন যে, পুঞ্চ এবং রাজৌরি সীমান্ত জেলায় সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থানের পিছনে তাকে মাষ্টারমাইন্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। পিওকে থেকে পাওয়া প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আহিকারিকরা জানান, রাওয়ালাকোট এলাকার আল-কুদুস মসজিদের ভিতরে সকালের নামাজের সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে আহমেদ নিহত হয়। আহমেদ বেশিরভাগই মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবা বেস ক্যাম্প থেকে পরিচালনা করত, কিন্তু সম্প্রতি তাকে রাওয়ালকোটে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা বলেছেন যে, সে লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান কমান্ডার সাজ্জাদ জাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল এবং সংগঠনের আর্থিক দিকটাও দেখাশোনা করত। রিয়াজ আহমেদ ছিল পাকিস্তান থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের চতুর্থ শীর্ষ কমান্ডার যে এ বছর নিহত হয়েছেন। মার্চ মাসে, নিষিদ্ধ হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার বশির আহমেদ পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে অজ্ঞাত হামলাকারীদের গুলিতে নিহত হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার বাসিন্দা বশির আহমেদ পিয়ার ওরফে ইমতিয়াজ আলম ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানে বসবাস করছিল। ২০১৫ সালের মে মাসে কাশ্মীরে আল-কায়েদার শাখা আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের প্রধান কমান্ডার জাকির মুসাকে হত্যা করার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।