দেশের চর এলাকায় কৃষি এবং কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ‘বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রকল্পটি এরই মধ্যে একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের তৃতীয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ২০৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পটি দেশের ৭ বিভাগের ৩৫ জেলার ১২১টি উপজেলায় বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আধুনিক কৃষিতে চর অঞ্চলের কৃষকদের দক্ষতা বাড়াবে। মাঠ দিবস, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় ঘটানোই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। থাকবে প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী, সোলার আলোক ফাঁদ, এলএলপি বিতরণ এবং ফার্মারস ফ্যাসিলিটিস শেড নির্মাণ।প্রকল্পের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, চর এলাকার উপযোগী আখ, পাট, কালোজিরা, ভুট্টা, মিষ্টি আলু, সূর্যমুখী, মরিচ, মটরশুঁটি, মুগ, সরিষা, মসুর, সয়াবিন, তরমুজ, মাল্টা, পেয়ারা ও আম চাষের ফলন বাড়ানো।
উন্নত কৃষিপ্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও পতিত জমি ব্যবহারের মাধ্যমে চর অঞ্চলের শস্যের নিবিড়তা ১৪০ থেকে ১৪৫ শতাংশে উন্নীতকরণ। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও ফসলের আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানো এবং উপকারভোগীদের পুষ্টিমানের উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা।পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পটির মাধ্যমে চরাঞ্চলের জমিতে খরা সহনশীল ও স্বল্পজীবনকালীন ফসলের জাত, উপযুক্ত কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হবে। এটি শস্য বৈচিত্র্য ও কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জাতীয় পুষ্টির চাহিদাপূরণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।