কলম্বিয়ায় বামপন্থী গেরিলাদের গুলির লড়াইয়ে কমপক্ষে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকেরই আঘাত গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়ায় বামপন্থী গেরিলা সংগঠন ‘ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (ELN) ও ‘সেন্ট্রাল জেনারেল স্টাফ’ (EMC)। সোমবার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছে পুয়ের্তো রনডন মিউনিসিপালিটি এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ গুলির লড়াই হয়। অত্যাধুনিক রাইফেল ও মেশিনগানের গুলিতে গোটা এলাকা কার্যত যুদ্ধভূমিতে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও শান্তি ফেরাতে এলাকায় বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কতজন গেরিলা বা সাধারণ মানুয রয়েছে তা স্পষ্ট করেননি গভর্নর উইলিনটন রডরিগেজ।
বলে রাখা ভাল, কয়েক দশক ধরেই বামপন্থী গেরিলাদের সঙ্গে সরকারের লড়াইয়ে রক্তাক্ত হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া। তবে ২০১৬ সালে শান্তির পথে ফিরে আসে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী তথা কুখ্যাত কমিউনিস্ট সশস্ত্র সংগঠন ‘রেভলিউশনারি আর্মড ফোর্সেস অফ কলম্বিয়া-পিপলস আর্মি’ (FARC)। তবে সংগঠনটির আলোচনা বিরোধী কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অংশ এখন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং ‘সেন্ট্রাল জেনারেল স্টাফ’ এদের মধ্যে অন্যতম। আর ‘ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ হচ্ছে কলম্বিয়ার সরকার স্বীকৃত শেষ গেরিলা সংগঠন। জানা গিয়েছে, অশান্ত দেশে শান্তি ফেরাতে পড়শি ভেনেজুয়েলায় ইএলএন-এর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর সরকার।
রয়টার্স বলছে, ১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কলম্বিয়ার (Colombia) সরকার, বামপন্থী গেরিলা, দক্ষিণপন্থি আধাসামরিক বাহিনী এবং মাদক চোরাচালান চক্রের মধ্যে সংঘাতে অন্তত সাড়ে চার লক্ষ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।