রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে তীব্র হয়েছে খাদ্যসংকট। ইউক্রেনের একাধিক বন্দরে হামলা চালাচ্ছে রুশ ফৌজ। যার প্রভাব পড়েছে শস্য রপ্তানিতেও। এই আবহে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে দীর্ঘ আলোচনার পরও শস্য রপ্তানি নিয়ে কোনও চুক্তি সাক্ষরিত হল না।
সিএনএন সূত্রে খবর, সোমবার কৃষ্ণসাগরের তীরে সোচিতে এরদোগানের সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। দীর্ঘ সময় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে আলোচনা হয় শস্য রপ্তানি চুক্তি নিয়ে। এই বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, “শস্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য রাশিয়া প্রস্তুত।” যদি এই দু’দেশের মধ্যে এই চুক্তি হয় তাহলে মস্কো থেকে দশ লক্ষ টন রাশিয়ার শস্য তুরস্কে রপ্তানি করা হবে।
এদিনের বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন পুতিন ও এরদোগান। সেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা সমাধানের পথ পেয়েছি। প্রত্যাশাপূরণে যা যা করণীয় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। এরপর পুতিন সাফ বলেন, “রাশিয়া শস্য চুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য তৈরি। কিন্তু যতক্ষণ না রাশিয়ার শস্য রপ্তানির উপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ নতুন কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে না।”
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরে খাদ্য, জ্বালানি বা আর্থিক কোনও না কোনও সংকটের মুখে পড়েছে ৯৪টি দেশের ১৬০ কোটি মানুষ। সবমিলিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে ধাক্কা খেয়েছে গোটা বিশ্ব। কারণ, ইউক্রেনের বন্দরগুলিতে রুশ অবরোধের জেরে থমকে ছিল শস্য রপ্তানি। সেই সমস্যার সমাধান করে গত বছরের জুলাই মাসে রাষ্ট্রসংঘ ও তুরস্কের পৌরহিত্যে চুক্তি স্বাক্ষর করে মস্কো ও কিয়েভ। ফলে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলি থেকে খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে সবুজ সংকেত দেয় মস্কো। তবে মাস দেড়েক আগে সেই চুক্তি থেকে একতরফা ভাবে বেরিয়ে আসে মস্কো। তারপর থেকেই ইউক্রেনের একের পর এক বন্দরে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।