গাছের সঙ্গে এক মহিলাকে বেঁধে পাথর ছুঁড়ে নৃশংস ভাবে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল স্বামী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। নির্মম-অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের। ওই নারীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ ওঠে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার লাহোর থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাবের রাজনপুর জেলায় এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার ২০ বছর বয়সী স্বামী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ আনেন। শুক্রবার ওই মহিলার স্বামী ও তার ভাই তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এর পর তারা তাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে। যন্ত্রণায় ছটফটিয়ে মারা যায় ওই মহিলা। এমনকি, পাথর ছুঁড়ে মারার আগে দুই ভাই তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
পুলিশ জানায়, অপরাধ করে দুই ভাই পালিয়ে গেছে। পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তানের সীমান্ত এলাকায় অভিযুক্তরা কোথাও লুকিয়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর পাকিস্তানে মিথ্যা ও লোক দেখানো সম্মানের জন্য বহু মহিলাকে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মানবাধিকার কর্মীদের মতে, পাকিস্তানে প্রতি বছর সম্মানের নামে প্রায় এক হাজার মহিলাকে খুন করা হয়। তাদের দোষ হল তারা পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করে বা সম্পর্ক করে। অসম্মানের কারণে মহিলাদের খুন করে তাদেরই পরিবার। এ ধরনের খুনের পেছনে প্রায়ই পরিবারের সদস্যরাই জড়িত থাকে।
এক সপ্তাহ আগে, পাঞ্জাবের মিয়ানওয়ালি জেলায় একজন মহিলা ডাক্তারকে তার বাবা গুলি করে খুন করে। ডাক্তারের বয়স তখন মাত্র ২৫ বছর। তিনি তাঁর সাথে কাজ করা ছেলেকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।