আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে জি ২০ সম্মেলন (G20 Summit)। আসছেন বিশ্বের তাবড় নেতারা। অবশ্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গরহাজিরার কথা আগে থেকেই জানা গিয়েছে। আর তা নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রবিবার ডেলাওয়ারের এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, 'আমি খুবই অসন্তুষ্ট, তবে শিগগিরই আমাদের দেখা হবে।' এরপর স্বাভাবিক প্রশ্ন, তাহলে কোথায় মুখোমুখি হবেন বাইডেন-জিনপিং? সূত্রের খবর, আগামী নভেম্বরে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোতে বসছে APEC শীর্ষ সম্মেলেন। সেখানেই জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। আর তিনি APEC বৈঠক এড়াতে পারবেন না বলেই মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
রবিবারই খবর প্রকাশ্যে এসেছিল যে আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি২০ সম্মেলনে আসতে পারবেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। একটি সূত্রে খবর, তাঁর জায়গায় সম্মেলনে যোগ দেবেন চিনা প্রিমিয়ার লি কিয়াং। আবার অপর সূত্রের দাবি, দিল্লির জি ২০ বৈঠকে যোগ দিতে কোন প্রতিনিধি পাঠানো হবে, তা এখনও স্থির করেনি চিন। সে প্রতিনিধি যিনিই হোন না কেন, খোদ চিনা প্রেসিডেন্টের গরহাজির থাকার খবর একেবারেই যেন মেনে নিতে পারছে না আমেরিকা। ওয়াকিবহাল মহলের মত, আসলে ভারতের মাটিতে জি ২০ বৈঠক আয়োজিত হওয়ায় চিন-আমেরিকা নিজেদের মধ্যে তাইওয়ান ইস্যুতে আলোচনা সেরে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাইডেনের। তা ধাক্কা খাওয়ায় হয়ত এতটা অখুশি তিনি।
ভারত-চিন সীমান্তে সম্প্রতি কূটনৈতিক শীতলতা বিরাজ করছে। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই জিনপিং দিল্লির বৈঠক এড়াচ্ছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। আবার অন্যদিকে, আমেরিকার সঙ্গে চিনের সম্পর্কের তিক্ততা মিটতে মিটতেও যেন মিটছে না। গত বছরের নভেম্বরের ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি ২০ সম্মেলনে আলাদাভাবে কথা বলেছিলেন বাইডেন ও জিনপিং। তা ছিল দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের উদ্যোগ। কিন্তু তারপরই চিনের নজরদারি বেলুন মার্কিন সীমা পেরনো ইস্যুতে ফের একপ্রস্ত তিক্ত হয় চিন-আমেরিকার সম্পর্ক। এনিয়ে দু'দেশের বিবৃতি, পালটা বিবৃতিতে যথেষ্ট শোরগোল পড়ে আন্তর্জাতিক মহলে। তার উপর তাইওয়ান ইস্যু তো রয়েইছে। এসবের মধ্যে চিনা প্রেসিডেন্ট দিল্লির বৈঠক এড়ানোয় অসন্তুষ্ট আমেরিকা।