দু'দিন আগেই শেষ হয়েছে ব্রিকস সামিট। এবারের সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল সম্প্রসারণ। যেখানে এই জোটের সঙ্গে যুক্ত হতে আবেদন করে রেখেছে ১২টি দেশ। কিন্তু সেই তালিকায় নেই পাকিস্তান। আপাতত এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই জানিয়ে দিল পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বিবৃতি দিয়ে জানান, 'ব্রিকসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য পাকিস্তানের তরফে কোনও আবেদন জানানো হয়নি। জোহানেসবার্গের এই সম্মেলনে উপর আমরা নজর রেখেছিলাম। ওখানে যে বহুত্ববাদের নীতি রয়েছে সে বিষয়ও আমরা জানি। পাকিস্তান বহুত্ববাদের সমর্থক। আগামী দিনে এই গোষ্ঠী কী কী উন্নতি করে সে দিকে আমরা নজর রাখব। তারপরই আমরা ব্রিকসের সঙ্গে সংযুক্তির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করব।' পাকিস্তান উন্নয়নশীল দেশ এবং সমস্ত দেশের মধ্যে শান্তি, সংহতি ও সহযোগিতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলেও দাবি করেন মুমতাজ।
প্রসঙ্গত, গত ২২ থেকে ২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চদশ ব্রিকস সম্মেলন। এবারের সামিটের নেতৃত্ব দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই গোষ্ঠীর সম্প্রসারণ হয় কি না তার উপর নজর ছিল গোটা বিশ্বের।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের পর এই প্রথমবার সম্প্রসারণ হল ব্রিকসে। এই সম্মেলনেই প্রত্যেকটি সদস্য দেশের সম্মতিতে নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সদস্য দেশগুলি সহমত হয়ে ছ'টি দেশকে ব্রিকসে স্বাগত জানায়। সেই তালিকায় রয়েছে আর্জেন্টিনা, ইরান, সৌদি আরব, মিশর, ইথিওপিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা নতুন সদস্যের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানান, সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব গড়ে তোলাই ব্রিকসের অন্যতম উদ্দেশ্য।