ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনেও সশরীরে যোগ দেবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সম্প্রতি পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ক্রেমলিন এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিদেশ ভ্রমণে পুতিনের গ্রেফতারির ঝুঁকি রয়েছে।
সেই ঝুঁকি এড়াতেই চলতি সপ্তাহে পুতিন দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ সশরীরে যোগ দেননি বলে মনে করা হচ্ছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জোটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনেও সশরীরে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা নেই প্রেসিডেন্ট পুতিনের। তবে এটা স্পষ্ট যে সশরীরে যোগ না দিলেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেবেন তিনি।
আগামী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। সম্মেলন সফল করতে বেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার।
সম্মেলনের সময় রাজধানী দিল্লি সাধারণ মানুষের জন্য কার্যত বন্ধ থাকবে। ওই সময়ে জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন যাতে নিরুপদ্রবে ও নিশ্চিন্তে কাটে, সে জন্য অভূতপূর্ব সব ব্যবস্থা গৃহীত হচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতে সরকারি ছুটির দিন। কিন্তু এর সঙ্গে ৮ সেপ্টেম্বরও ছুটি ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
ওই তিন দিন রাজধানীর সব সরকারি–বেসরকারি স্কুল–কলেজ, অফিস–কাছারি, ব্যাংক ও যাবতীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে শহরে যাতায়াতের প্রতিটি রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
জি-২০ গ্রুপের সদস্য দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
১৯৯৯ সালে গঠিত জি-২০-এর বর্তমান চেয়ার ভারত। আগামী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলন জোটের ১৮তম সম্মেলন। এবারের স্লোগান ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জোটটির প্রথম সম্মেলন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি শহরে। বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৮৫ শতাংশ, বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ ও জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলো।