নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কিন্তু মাত্র ২০ মিনিট জেলে থেকে তাঁর ছবি তুলেই ছেড়ে দেওয়া হলো তাঁকে। এই ঘটনায় কার্যত অবাক গোটা বিশ্ব।
দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার আটালান্টার ফুল্টন কাউন্টির একটি জেলে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
আগেই আত্মসমর্পণের কথা জানিয়ে ছিলেন তিনি। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে জেল হেফাজতেও রাখেন। জেলের মধ্যেই ট্রাম্পের একটি ছবি তোলা হয়। ছবি তোলার আগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলা হয় একটি বোর্ড নিয়ে দাঁড়াতে। যাতে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া ছিল - যেমন, উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি, ওজন ৯৭ কেজি এবং চুলের রঙ সোনালি। জেলে ঢোকার ২০ মিনিটের মধ্যেই এই ছবি তুলে ২ লক্ষ মার্কিন ডলার বন্ডের বিনিময়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ছবি তোলার সময় ট্রাম্পের মুখে একটা বিরক্তির ছাপ লক্ষ্য করা গেছে।
জেল থেকে বেরিয়ে ট্রাম্প বলেন, "আমি কোনও ভুল করিনি। আমেরিকার রাজনীতিতে খুবই দুঃখজনক দিন আজ। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচারব্যবস্থাকে ভুল বোঝানো হয়েছে।"
ট্রাম্প ছাড়াও আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। সকলেই আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু ট্রাম্পের মতো তাঁদেরও ছবি তুলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ জানিয়ে জর্জিয়ার আটলান্টা আদালতে মামলা করেন আইনজীবী ফানি উইলিস। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ২০২০ সালের নির্বাচন শেষে ভোট গণনার সময় সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে ফোন করেন ট্রাম্প এবং ফলাফল বদলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ট্রাম্পের করা একটি ফোন কলের রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পরেই তদন্ত শুরু হয়। এখানেই শেষ নয়। এর চারদিনের মাথায় নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও ট্রাম্পের অনুগামীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তোলা হয়। এই মামলায় গত সপ্তাহেই আটলান্টা আদালত ট্রাম্প-সহ মোট ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এই ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ট্রাম্পের প্রাক্তন ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিউলিয়ানি এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ মার্ক মেডোজ। সকল অভিযুক্তদের ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত আত্মসমর্পণের জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল।