অবশেষে ব্রিকসের সম্প্রসারণ হল। বৃহস্পতিবার আরও ছ'টি দেশকে এই গোষ্ঠীর সদস্যপদ দেওয়া হল। আর্জেন্টিনা, ইরান, সৌদি আরব, মিশর, ইথিওপিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে নতুন সদস্য হিসাবে স্বাগত জানানো হল এই গোষ্ঠীতে।
চলতি ব্রিকস সম্মেলনের সভাপতি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জানান, এই ছয় রাষ্ট্রকে নিয়ে বিশ্বের নতুন ব্যবস্থা তৈরি হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, ব্রিকস মঞ্চের মাধ্যমেই নতুন সদস্য দেশগুলির সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও উন্নতি হতে পারে।
২০১০ সালের পর এই প্রথমবার সম্প্রসারণ ঘটল ব্রিকসের। চলতি সম্মেলনেই প্রত্যেকটি সদস্য দেশ সম্মতি দেয়, নতুন রাষ্ট্রকে ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার সদস্য দেশগুলি সহমত হয়ে ছ'টি দেশকে ব্রিকসে স্বাগত জানায়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা নতুন সদস্যের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানান, সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব গড়ে তোলাই ব্রিকসের অন্যতম উদ্দেশ্য। নিজের বক্তৃতা চলাকালীনই ভারতের চন্দ্রযানের সাফল্যকে কুর্নিশ জানান রামাফোসা।
নতুন সদস্যদের যোগদান নিয়ে বক্তব্য রাখেন মোদিও। জোহানেসবার্গে সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, 'ভারত সবসময় ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছে। কারণ আমরা মনে করি সদস্য সংখ্যা বাড়লে আরও শক্তিশালী হবে ব্রিকসের সংগঠন।' সেইসঙ্গে চন্দ্রযান নিয়েও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'ইসরোর এই সাফল্যকে গোটা বিশ্বের সাফল্য হিসাবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের পক্ষে খুবই গর্বের বিষয়। যতজন আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ভারতের তরফে বিশ্বের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।' এদিন বক্তব্য রাখেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। তবে তাঁদের কারোওর মুখেই শোনা যায়নি চন্দ্রযানের কথা।