২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপি মামলায় আত্মসমর্পণ করতে প্রস্তুত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'ট্রুথ সোশ্যাল'-এ একথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি এই মামলায় জর্জিয়ার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' বলে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি ট্রাম্প।
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ জানিয়ে জর্জিয়ার আটলান্টা আদালতে মামলা করেন আইনজীবী ফানি উইলিস। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ২০২০ সালের নির্বাচন শেষে ভোট গণনার সময় সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে ফোন করেন ট্রাম্প এবং ফলাফল বদলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ট্রাম্পের করা একটি ফোন কলের রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পরেই তদন্ত শুরু হয়। এখানেই শেষ নয়। এর চারদিনের মাথায় নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও ট্রাম্পের অনুগামীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তোলা হয়। এই মামলায় গত সপ্তাহেই আটলান্টা আদালত ট্রাম্প-সহ মোট ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এই ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ট্রাম্পের প্রাক্তন ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিউলিয়ানি এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ মার্ক মেডোজ।
এই মামলাতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর নিজেই বৃহস্পতিবার আটলান্টা গিয়ে ধরা দেবেন বলে জানালেন ট্রাম্প। সোমবার মার্কিন ধনকুবের তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, "আপনারা বিশ্বাস করতে পারছেন? আমি নিজে বৃহস্পতিবার আটলান্টা, জর্জিয়ায় মৌলবাদী বাম জেলা আইনজীবী ফানি উইলিসের হাতে গ্রেফতার হতে যাচ্ছি। যার তত্ত্বাবধানে আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে সহিংস অপরাধ ও অন্যতম সেরা খুনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে, এই আটলান্টা সফর কোনও 'খুনের' জন্য নয়, একটি 'পারফেক্ট' ফোন করার জন্য।"
তবে শুধুমাত্র ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারচুপিই নয়, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একগুচ্ছ অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। দেশদ্রোহিতা, গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে ফেলা, পর্ণস্টারকে ঘুষ দেওয়া, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার মতো একাধিক মামলায় ইতিমধ্যেই জর্জরিত জর্জিয়াগামী ট্রাম্প। এর মধ্যে নির্বাচনে বাধা দেওয়ার মামলায় ওয়াশিংটনের আদালতের রায়ে ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।