২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:৩৩:১১ অপরাহ্ন


বন্ধুর মেয়েকে ধর্ষণ করল সরকারি কর্মকর্তা, সহায়তায় স্ত্রী!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৮-২০২৩
বন্ধুর মেয়েকে ধর্ষণ করল সরকারি কর্মকর্তা, সহায়তায় স্ত্রী! ফাইল ফটো


নারী ও শিশু কল্যাণ বিভাগের বড় কর্মকর্তা তিনি। এ সংক্রান্ত সমস্যা বা সংকট সমাধানই তার দায়িত্ব। অথচ নিজের বন্ধুর কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেল সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের দিল্লিতে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দিল্লি সরকারের এক সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা নাবালিকা অভিযুক্ত ব্যক্তির বন্ধুর মেয়ে। মাসের পর মাস ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 
 
জানা গেছে, এর জেরে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। তখন তাকে গর্ভপাত করানো হয় এবং এই কাজে অভিযুক্ত ওই সরকারি কর্মকর্তাকে তার স্ত্রী সাহায্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

অভিযুক্ত কর্মকর্তা এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
 
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, নির্যাতিতা নাবালিকা স্কুল শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে তার বাবার মৃত্যু হয়। এরপরই অভিযুক্ত তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। সেখানেই দিনের পর দিন ওই নাবালিকার ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। 
 
স্ত্রীর মদতেই অভিযুক্ত এই কাজ করতো বলে অনুমান পুলিশের। ধর্ষণের জেরে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অভিযুক্ত তার স্ত্রীকে বিষয়টি জানায়। তখন ওষুধের মাধ্যমে নাবালিকার গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ। এর পরও তার ওপর অত্যাচার থামেনি। 

সম্প্রতি ওই নাবালিকা যৌন হেনস্থার অভিযোগ করে পুলিশের কাছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে একটি হাসপাতালে। তার বয়ানও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করা হয়েছে।