পবিত্র কোরআন শরিফ হিফজ সম্পন্ন করার পর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তা নির্ভুলভাবে কয়েকবার পড়ে শোনানোর নিয়ম আছে। এর উদ্দেশ্য হলো যাতে হিফজটা পাকাপোক্ত হয়। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কোরআন শোনানোর এমন একটি আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় দেড় হাজার হাফেজ।
মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ফিলিস্তিনের গাজা এলাকার দুটি মসজিদে ‘সাফওয়াতুল হুফফাজ’ নামের কোরআন শোনানোর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
গাজার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দারুল কোরআন আল-করিম ওয়াস সুন্নাহ নামের একটি সংস্থার আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন এক হাজার ৪৭১ জন হাফেজ। দুটি মসজিদের একটিতে ছেলে ও অন্যটিতে মেয়েরা মুখস্থ কোরআন শোনান।
পুরো কোরআন শোনাতে তাদের প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে। কোরআন তেলাওয়াতের মনোমুগ্ধকর এ পরিবেশনা চলে ফজর থেকে মাগরিব পর্যন্ত।
দারুল কোরআন আল-করিম ওয়াস সুন্নাহর প্রধান বিলাল ইমাদ জানিয়েছেন, কোরআন শোনানোর এ পর্বে ফিলিস্তিনের নানা বয়সী হাফেজরা অংশ নেন। তাদের মধ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক, সেনা কর্মকর্তাসহ নানা পেশার নারী ও পুরুষ ছিলেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮ বছর বয়সী হাফেজ যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধও। তাদের মধ্যে ২৬ জন প্রতিবন্ধী, ১৬৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ৩৪ জন নিরাপত্তাকর্মী এবং ৯০ জন চিকিৎসক।
বিলাল ইমাদ আরও জানান, এটি পবিত্র কোরআন শোনানোর দ্বিতীয় পর্ব। স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়িত হয়েছে।
এরআগে গত ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো সংস্থাটি এক বৈঠকে কোরআন শোনানোর আয়োজন করে। তাতে ৫৮১ হাফেজ অংশ নিয়েছিলেন।
দারুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ গাজা এলাকার একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ১৯৯২ সালে সব বয়সীদের মধ্যে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা প্রসারে তা প্রতিষ্ঠিত হয়। কাতারসহ বেশ কিছু দেশ গাজা এলাকার শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় এ প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে থাকে।