লিবিয়ায় দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪৬ জন। চলতি বছরে দুই পক্ষের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা।
বুধবার (১৭ আগস্ট) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ত্রিপোলির জরুরি স্বাস্থ্য সংস্থার বরাতে বুধবার লিবিয়ার আল-আহরার টিভির প্রতিবেদনে হতাহতের এ সংখ্যা জানানো হয়। এরআগে সোমবার ও মঙ্গলবার দুদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২৭ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। হতাহতদের মধ্যে যোদ্ধা এবং বেসামরিক মানুষ রয়েছেন কিনা জানা যায়নি।
প্রভাবশালী ৪৪৪ ব্রিগেড এবং আল-রাদা বা স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্সের মধ্যে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকে এই সংঘর্ষ চলে। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত করার পর থেকে এই দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী দেশটিতে ক্ষমতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার (১৪ আগস্ট) ৪৪৪ ব্রিগেডের প্রধান কর্নেল মাহমুদ হামজাকে আটককে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
মঙ্গলবার দিনের অধিকাংশ সময়ই ত্রিপোলির কয়েকটি অংশের ওপর ঘন ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। বিভিন্ন এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে লড়াই ছড়িয়ে পড়েছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রিপোলিতে প্রচুর মানুষ তাদের বাড়িতে আটকে পড়েছেন। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, তারা যেন সংঘর্ষের জায়গাগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে দেন এবং আহতদের বাইরে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ করে দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। ৪৪৪ ব্রিগেড কম্যান্ডার মাহমুদ হামজাকে স্পেশাল ডেটারেন্স ফোর্স মুক্তি দেয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। এই দুই গোষ্ঠীই লিবিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠন।