দেশের এভিয়েশন খাত এখন সারা বিশ্বের কাছে মডেল হয়ে দাঁড়াবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাংলাদেশকে “আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব”-এ পরিণত করা আজ বাস্তবায়নের পথে। তারই সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই এ সকল উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে। আগামী এক থেকে দু’বছরের মধ্যেই থার্ড টার্মিনাল কক্সবাজার, সিলেট চট্রগ্রাম সহ অন্যান্য বিমানবন্দরের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্ম সমাপনের পর সত্যিই বিদেশীদের নজর কাড়বে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, আদর্শ ও বেবিচক-এর উন্নয়ন” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় একথা বলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনার আয়োজন করা হয়।
এদিন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নর্মিত রাখা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের নেতৃত্বে বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণের উপস্থিতিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মুখে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে নব-নির্মিত মিলনায়তনে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেবিচক এর নব-নির্মিত মিলনায়তনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে অনুষ্ঠানে “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, আদর্শ ও বেবিচক-এর উন্নয়ন” শীর্ষক প্রবদ্ধ উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার উপর আলোচনা করা হয়। স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করা হয়। তাঁরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন অবদান ও উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তাঁর-ই হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ বাস্তবায়নের দ্বার প্রান্তে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেই তাঁর-ই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর ৩য় টার্মিনাল ভবন নির্মাণ কাজ পূর্ণোদ্দমে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া কক্সবাজার, সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সকল বিবমানবন্দরে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ সকল উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাংলাদেশকে “আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব”-এ পরিণত করা আজ বাস্তবায়নের পথে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই এ সকল উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হচেছ।
বেবিচকের উন্নয়ন কর্মকান্ড সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। এরপর বাদ জোহর বেবিচক এর সিভিল এভিয়েশন একাডেমি জামে মসজিদে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।মোনাজাতে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্য ও অন্যান্য সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং তাঁর পরিবার পরিজনসহ দেশবাসীর জন্য মঙ্গল কামনা করা হয়। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে একই কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আওতাধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয় ।