০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:৩৩:২১ অপরাহ্ন


এনআইডি সার্ভার বন্ধে চরম ভোগান্তি
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৮-২০২৩
এনআইডি সার্ভার বন্ধে চরম ভোগান্তি নির্বাচন ভবনের ফাইল ছবি


এমনিতেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি সংশোধন মানে মহাবিপদ। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে সার্ভার বন্ধ। দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে এনআইডি সংশোধন নিয়ে আসা মানুষের তাই যেনো ভোগান্তি চরমে।

বুধবার সকাল থেকেই ইটিআই ভবনে জড়ো হন শতাধিক সেবাপ্রত্যাশী। তারা বলছেন, আগে জানালে হয়তো এতো দূর থেকে এসে ভোগান্তি পোহাতে হতো না।

এদিকে এনআইডি সার্ভার বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ব্যাংক, পাসপোর্টসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

এনআইডি কর্তৃপক্ষ বলছে, সাইবার হামলা প্রতিরোধে কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে তা এনালাইসিস করতে কাজ চলছে। তাই বন্ধ আছে সার্ভার। তবে এতো সময় লাগবে সেই ধারণা না থাকায় আগে থেকে কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। অল্পসময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবার কথা বলা হলেও সেটা কখন তা নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।
 
এনআইডির সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সার্ভার সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সাইবার হামলার ঝুঁকি এসেসমেন্ট করতে একটি কারিগরি দল এনআইডি সার্ভারে কাজ করছে। এজন্য আপাতত সার্ভার বন্ধ আছে৷ ঘণ্টাখানেক সময়ের মধ্যে চালু করা হবে পুনরায়।
 
এ বিষয়ে বিকেল তিনটায় ব্রিফ করবেন কমিশন সচিব।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভার বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। 

সকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই সার্ভারে ঢুকতে পারছেন না তারা। তবে হ্যাক হয়েছে এমন কোনো আলামত ওয়েবসাইটে নেই। সবদিক খতিয়ে দেখতে মহাপরিচালকের নির্দেশে টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে।
 
দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যভান্ডারের কোনো ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) বা যথাযথ ব্যাকআপ (বিকল্প সংরক্ষণব্যবস্থা) নেই। ডিআরএস না থাকায় জাতীয় এই তথ্যভান্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি ইসির তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির একটি বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনআইডির তথ্যভান্ডারে প্রায় ১২ কোটি ভোটারের কমবেশি ৩০ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য আছে। ১৭১টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইসির এই তথ্যভান্ডার থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য যাচাই–সংক্রান্ত সেবা নিচ্ছে।

সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে সম্প্রতি লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়। এরপর দেশে ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসে।