পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের আরও ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ে মোট ১৮টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাগজবিহীন কার্যক্রম শুরু হলো।
রোববার এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-নথি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ধাপে দেশের আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নথির মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকে ফাইল নিষ্পত্তি করা যায়। ফলে কোনো ফাইল আটকে থাকছে না, বাড়ছে কাজের গতি। এতে দাপ্তরিক কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে এবং দুর্নীতির সুযোগ কমে যাচ্ছে। ধাপে ধাপে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই যেন এতে যুক্ত হয়– এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
নতুন করে ডি-নথিতে যুক্ত হওয়া উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো– জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আলোচক ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউজিসির ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দসহ সংশ্লিষ্ট ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইউজিসি, এটুআই কর্মকর্তারা।