১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন


রাজশাহী অঞ্চলে পানির অভাবে আমন ধানের জমি ফেটে চৌচির, দুশ্চিন্তায় কৃষক
মঈন উদ্দিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৭-২০২৩
রাজশাহী অঞ্চলে পানির অভাবে আমন ধানের জমি ফেটে চৌচির, দুশ্চিন্তায় কৃষক রাজশাহী অঞ্চলে পানির অভাবে আমন ধানের জমি ফেটে চৌচির, দুশ্চিন্তায় কৃষক


ভরা বর্ষা মৌসুমেও এবার কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের আমন ধান রোপন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। বৃষ্টি নির্ভর এ আমন ধান যে সমস্ত কৃষক গভির নলকুপ থেকে পানি দিয়ে ধান রোপন করেছেন সেসব আমনের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। মরে যাচ্ছে রোপনকৃত ধান। আবার যারা আমন এখনো রোপন করেনি তাদের আমনের চারা বীজ তলাতেই নষ্ট হচ্ছে।

অব্যাহত খরার কারণে কৃষি ভান্ডার ধান উৎপাদনের বিখ্যাত এলাকা রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা রোপনকৃত রোপা আমন ধানের  ক্ষেতে নেই পানি, জমি ফেটে চৌচির, বৃষ্টির পানির দেখা নেই প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে এতে জমির অবস্থা নাজেহাল।

কৃষকরা বলছেন এভাবে আর কয়েকদিন থাকলে ধান গাছের কচি পাতা পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন উপজেলার কৃষকরা। আবার সেচ পেতে হয়রানির শেষ নেই। রোপা আপন চাষাবাদ উপজেলা বাসীর মুল ভরসা। অথচ সরকারী পর্যাপ্ত সেচ পাম্প থাকলেও বিএমডিএর তিল পরিমান ভূমিকা নেই। যেভাবেই হোক সেচের ব্যবস্থা করতে না পারলে পথে বসবে কৃষকরা,ব্যহত হবে উৎপাদন,খাদ্য ঘাটতিতে পড়বে এঅঞ্চল বলে মনে করছেন কৃষি বিদরা ।

আবার রোপনকৃত জমিতে আগাছা ভরে গেছে। ফলে একদিকে হয়নি জমি রোপন অপর দিকে আগাছা এবং মরা ধান গাছে নতুন বীজ দিয়ে গোজা মারা লাগছে। এতে করে চরম হতাশায় ভূগছেন কৃষকরা। জানা গেছে, বৃষ্টির পানি নির্ভর রোপা আমন চাষাবাদ। 

তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এবারে রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ২১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে রোপন হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি। বাকি জমি বৃষ্টির পানির জন্য রোপন হয়নি। তবে এখনো রোপনের সময় আছে, আসা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমি রোপন হবে। বৃষ্টি না হলে সেচের মাধ্যমে রোপনের ব্যবস্থা করা হবে।