১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার, ১১:৪০:৫৮ পূর্বাহ্ন


সার্জারির পর আবছা দেখতে পাচ্ছেন রাবির সেই আল-আমিন
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৭-২০২৩
সার্জারির পর আবছা দেখতে পাচ্ছেন রাবির সেই আল-আমিন সার্জারির পর আবছা দেখতে পাচ্ছেন রাবির সেই আল-আমিন


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ছররা গুলিতে চোখে আঘাত পাওয়া শিক্ষার্থী আল-আমিন চোখে সার্জারির পর আবছা দেখতে পারছেন। শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে ভারতের চেন্নাই থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন তিনি।

আল-আমিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সাতক্ষীরা সদর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুস সেলিমের ছেলে।

চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে আল-আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘১৪ জুলাই আমার চোখের সার্জারি করা হয়। সার্জারির পর এখন আবছা দেখতে পাচ্ছি। এক হাত দূরের জিনিসও দেখতে পাচ্ছি। এখন চোখে আলো পড়লে অনুভব করতে পারি।

বেশ কিছু ড্রপ ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক তিন সপ্তাহের জন্য সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। এ ছাড়াও ধীরে ধীরে আরো উন্নতি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন চিকিৎসক।’

১১ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাসচালকের বাগবিতণ্ডার জেরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

হামলা ও সংঘর্ষে আহত হন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এরমধ্যে আহত তিন শিক্ষার্থীকে চোখের ভিট্রিয়ল রেটিনাল ইনজুরির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় পাঠানো হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। ভারতের চেন্নাইয়ে গিয়ে চিকিৎসার পরও চোখে দেখতে পারছেন না মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম। ঝাপসা দেখছেন ফারসি বিভাগের শিক্ষার্থী মিসবাহুল ইসলাম।

আরেক শিক্ষার্থী আল-আমিন অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে ভারতের চেন্নাইয়ে যেতে পারছিলেন না। পরে তাঁর বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বন্ধুদের সহায়তায় কিছু টাকা নিয়ে গত ২৫ মে ভারতে চিকিৎসা নিতে যান। তবে টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা ছাড়াই বাড়িতে ফিরে আসেন আল-আমিন ও তার বাবা। পরে ১০ জুন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখে আল-আমিনের চোখের অস্ত্রোপচার করার যাবতীয় খরচ দেয় ‘সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।