১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:৫৯:১০ পূর্বাহ্ন


রাবির ছাত্রী ইভার আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২৩
রাবির ছাত্রী ইভার আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী গ্রেপ্তার রাবির ছাত্রী ইভার আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী নাজমুল মাহমুদ পলাশ গ্রেপ্তার।


রাবির মেধাবী ছাত্রী সায়মা আরভী ইভা আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীর প্রধান আসামী নাজমুল মাহমুদ পলাশকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় র‌্যাব-৫ রাজশাহী সিপিএসসি এবং র‌্যাব-১১, নারায়নগঞ্জ সদর কোম্পানী যৌথ আভিযানে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চিটাগাং রোড সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত পলাশ রাজশাহী মহানগরীর কর্ণহার থানা এলাকার দেবরপাড়া গ্রামের মোঃ মুসলেম উদ্দীনের ছেলে।

বুধবার (২৬ জুলাই) র‌্যাব ৫ সদর দপ্তর থেকে গনমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে এ তথ্য জানান।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিকাল সাইকোলজি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী সায়মা আরভী ইভা তার মাস্টার্স পরীক্ষায় ৩য় স্থান অর্জন করে। গত ১৪ জানুয়ারি পারিবারিকভাবে শাওন নামের এক ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে দেওয়া হয়। বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলে আসামি (ইভার আগের প্রেমিক) নাজমুল মাহমুদ পলাশ গত ১৫ জানুয়ারি লক্ষীপুর এলাকার একটি পার্লার থেকে বিয়ের সাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে।

পরবর্তীতে তাকে জোর করে ঐদিন রাতেই বিয়ে করে এবং রাতেই তাকে তার বাড়িতে ফেলে রেখে যায়। ইভার পরিবার ব্যাপারটি জানতে পেরে তারা এই বিয়ে মেনে নেয় এবং আগের বিয়ে ভেঙে দেয়। কিন্তু আসামী ইভাকে গ্রহণ করতে আর রাজি হয় না। ফলে ইভা ও তার পরিবার বিভিন্নভাবে সামাজিক হেয়-প্রতিপন্নের শিকার হয়। মেধাবী শিক্ষার্থী ইভা এ অপমান সহ্য করতে না পেরে গত ১৯ জানুয়ারী রাতে তার বাবার হাইপার টেনশনের ওষুধ অতিমাত্রায় সেবন করে। কিছুক্ষণের মধ্যে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ জানুয়ারি ভোরে তিনি মারা যান।

পরবর্তীতে ইভার মামা আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআই এর উপর ন্যাস্ত করলে পিবিআই তদন্ত করে ৬ জন আসামীর নামে চার্জসিট প্রদান করে। গত ৩ জুলাই রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ থেকে মোট ৬ জন আসামীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। নিহত ইভার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রাপ্ত ০৬ জন আসামীর মধ্যে ০৫ জনই আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে ইভার পরিবারকে আরো হেয় প্রতিপন্ন করে।

উক্ত ঘটনা র‌্যাব-৫ সিপিএসসি টিমের কাছে আসার সাথে সাথে সিপিএসসি টিম তার গোয়েন্দা নজর দারী শুরু করে। পরবর্তীতে র‌্যাব-১১, হেড কোঃ ও র‌্যাব-৫ সিপিএসসি এর যৌথ অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড হতে প্রধান আসামী পলাশকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তারা।