১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার, ১১:৪০:৫২ পূর্বাহ্ন


বিএনপির মায়া কান্নায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে না: খালিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৭-২০২৩
বিএনপির মায়া কান্নায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে না: খালিদ বিএনপির মায়া কান্নায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে না: খালিদ


নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিগত ১৫ বছর থেকে শুনছি আন্দোলনের কথা। এ ১৫ বছরে তিনটি নির্বাচন হয়েছে। তিন নির্বাচন ধরেই বলা হচ্ছে আন্দোলনের কথা। বিএনপি যে অপরাধগুলো করেছে, তারা যতই মায়া কান্না করুক, জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। বরঞ্চ সরকারের গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এবং সরকারের গণতান্ত্রিক কর্মকা-ের জন্য তারা সুযোগ পেয়ে গেছে। তারা সেই সুযোগকে কাজে না লাগিয়ে দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করছে। 

রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাতের বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধান আছে, আইনিকাঠামো আছে, বিচার বিভাগ আছে, সংসদ চলমান আছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর বাইরে তো যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এই বাংলাদেশে ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বারবার সংবিধান ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় আছি বলেই বাংলাদেশ সমৃদ্ধির জায়গায় আছে। আত্মসম্মানের জায়গায় আছে। আজকে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় আছে বলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের উপর হস্তক্ষেপ করতে পারেনি। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকেই নিতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে অনেক কথাই বলা হবে। সে কথাগুলো জনগণ গ্রহণ করছে কিনা সেটাই বড় কথা। আমরা দেখতে পাচ্ছি জনগণ সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় বিশ্বাস করে। কারণ জনগণ এর সুফল পাচ্ছে। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, যে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, সবকিছুর সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশের জনগণ পাচ্ছে। অতীতে আমাদের অনেক শিক্ষা হয়েছে। এখন আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমরা ২১ সালের লক্ষ্যপূরণ করেছি। ৪১ সালের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশ করতে চাই। রাজনীতির মঞ্চ থেকে অনেক কথাবার্তা হবে। সেই কথাবার্তায় সরকার ও জনগণের কোনো দৃষ্টি নাই। আমাদের দৃষ্টি সংবিধানে। 

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, আমরা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র। আমাদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আছে। আমেরিকা আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তেমনি। আমাদের গার্মেন্টস শিল্প ইউনিয়নের সঙ্গে ব্যবসা হয়। আমাদের অনেক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। একসঙ্গে থাকতে হলে অনেকে অনেক কথাবার্তা বলে, বলবে। আমাদের সংবিধান যেটা বলেছে আমরা সেই আলোকে চলি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আসুক, আমেরিকায় আসুক তারা সংবিধানের বাইরে কথা বলবে না। 

তিনি বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে এমন একটা জিনিস যা নিরন্তন সংগ্রামের বিষয়। আপনি যত চর্চা করবেন এর উজ্জ্বলতা বাড়বে। যত বেশি আমরা এটি নিয়ে চর্চা করবো তত বেশি আলো ছড়াবে। আমাদের গণতন্ত্র চর্চার বয়স মাত্র ১৫ বছর। এর আগে সামরিক যাতা কলে গণতন্ত্র বারবার নিষ্পেষিত হয়েছে। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ছাড়া গণতন্ত্র কখনোই মসৃণ হবে না। 

অনুষ্ঠানে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।