পবিত্র আরাফাতের দিন। ফজিলত ও মর্যাদাপূর্ণ দিন। দিনটি জিলহজের ৯ তারিখ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষ কয়েকটি কারণে আরাফার দিনের মর্যাদা দিয়েছেন। আরাফার দিন বিশেষ ফজিলতপূর্ণ হওয়ার কারণ কী?
আরাফার দিন মর্যাদাবান ও ফজিলতপূর্ণ হওয়ার কারণ
আরাফার মাঠে উপস্থিত হওয়াই হজ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আরাফাতে অবস্থান করাই হলো হজ।’ (নাসাঈ ৩০৪৪)
এ দিনটিতেই ইসলাম পরিপূর্ণতা পায়। এ বিষয়ে আরাফার দিনে অবতীর্ণ হয়েছে কোরআনে কারিমের সর্বশেষ আয়াত-
اَلۡیَوۡمَ اَکۡمَلۡتُ لَکُمۡ دِیۡنَکُمۡ وَ اَتۡمَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ نِعۡمَتِیۡ وَ رَضِیۡتُ لَکُمُ الۡاِسۡلَامَ دِیۡنًا
‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলাম তোমাদের দীন মনোনীত করলাম।...’ (সুরা মায়েদা: আয়াত ০৩)
১. আরাফার দিনে সবচেয়ে বেশি মানুষকে ক্ষমা করা হয়
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আরাফার দিনের চেয়ে উত্তম কোনো দিন নেই, যেদিন আল্লাহ সবচেয়ে বেশি বান্দাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেন।' (মুসলিম)
২. ইসলামকে পূর্ণতা দেওয়ার দিন
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর খেলাফতকালের কথা। এক ইহুদি ব্যক্তি তাকে প্রশ্ন করে, 'হে মুমিনদের আমির! আপনাদের কিতাবে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যদি আমাদের ইহুদিদের ওপর আয়াতটি নাজিল হতো, তাহলে আমরা সেই দিনকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করতাম।’
তিনি বললেন, কোন আয়াতটি? সে বললো-
اَلۡیَوۡمَ اَکۡمَلۡتُ لَکُمۡ دِیۡنَکُمۡ وَ اَتۡمَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ نِعۡمَتِیۡ وَ رَضِیۡتُ لَکُمُ الۡاِسۡلَامَ دِیۡنًا
‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলাম তোমাদের দীন মনোনীত করলাম।...’ (সুরা মায়েদা: আয়াত ০৩)
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, 'আয়াতটি নবিজির ওপর যেদিন এবং যে স্থানে নাজিল হয়েছে, সেই দিন ও স্থানটি আমরা জানি। দিনটি ছিল আরাফার দিন; জুমাবার। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফার ময়দানে অবস্থান করছিলেন।
৩. এদিন রোজা রাখলে দুই বছরের গুনাহ মাফ হয়
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরাফার দিন রোজা রাখার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এটি বিগত এক বছর ও আগত এক বছরের পাপ মোচন করে।’ (মুসলিম) তবে যারা আরাফার ময়দানে অবস্থান করবেন, তাদের এই দিনে রোজা নেই।
৪. আরাফার মাঠে অবস্থানকারীদের জন্য এটি ঈদের দিন
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আরাফার দিন, কোরবানির দিন ও তাশরিকের দিনগুলো আমাদের মুসলিমদের জন্য ঈদের দিন। এ দিনগুলো খাওয়া-পানাহারের দিন।’