২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১১:০৪:১৭ পূর্বাহ্ন


পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে রুশ সেনারা, ইউক্রেনের ১৩৭ সেনা নিহত
রিয়াজ উদ্দিন :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০২-২০২২
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে রুশ সেনারা,  ইউক্রেনের ১৩৭ সেনা  নিহত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে রুশ সেনারা, ইউক্রেনের ১৩৭ সেনা নিহত


এদিকে ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযানের প্রথম দিনটি সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ ছাড়া ইউক্রেনের ভূ-উপরিভাগের ৭৪টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংসের দাবি করেছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যার মধ্যে ১১টি বিমানঘাঁটিও রয়েছে। চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ সেনারা।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর বেলারুশ ও ক্রিমিয়া থেকে ইউক্রেনে প্রবেশ করেন রুশ সেনারা। দেশটির একাধিক শহরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার দখলদার বাহিনী চেরনোবিল দখল করার চেষ্টা করছে। ১৮৮৬ সালের বেদনাদায়ক ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য আমাদের সেনারা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিচ্ছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রুশ সেনারা ইতোমধ্যে রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি ইউক্রেনকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনের প্রায় ১ লাখ মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য তারা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন।

কয়েক মাসের উত্তেজনার পর বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনে অভিযানের নির্দেশ দেন পুতিন। রাশিয়ার কাছাকাছি ন্যাটোর সম্প্রসারণের উদ্বেগ থেকেই এই হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি বইছে। প্রথম দিনেই ইউক্রেনে রাশিয়া ১৬০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এক কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন এমন দাবি করেছে। তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র স্বল্প-পাল্লার। এছাড়া মাঝারি-পাল্লার ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়েছে রাশিয়া।

এর আগে ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যু হয় ৩১ জনের।

রাজশাহীর সময় / এম আর