গোমাংস খাওয়ার 'অপরাধ' এ মুসলিম যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠল বিহারে।
২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে মুসলিম ব্যক্তি মহম্মদ আকলাখকে গোমাংস খাওয়ার 'অপরাধে' পিটিয়ে মারা হয়েছিল। সেই স্মৃতিই উস্কে দিল বিহারের এই ঘটনা। অভিযোগ, প্রথমে মারধর, পরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ওই যুবককে।
সূত্রের খবর, মৃতের নাম মহম্মদ খলিল আলম। তিনি জেডিইউয়ের সক্রিয় কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন'। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মহম্মদ মাটিতে হাতজোড় করে বসে রয়েছেন। আর তাঁকে ঘিরে রয়েছে বহু স্বঘোষিত গোরক্ষক। অনবরত মহম্মদকে চড়-থাপ্পর মারছে গোরক্ষকরা। প্রশ্ন করা হচ্ছে, মুরগি-খাসি থাকা সত্ত্বেও কেন গোমাংস খেলেন তিনি? একা তিনি খেয়েছেন, নাকি ছেলেপুলে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও গোমাংস খাইয়েছেন, জানতে চাইছে চড়াও হওয়া যুবকেরা। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বারবার কান মুলছেন মহম্মদ। বলছেন, 'এবার ছেড়ে দিন। ভুল হয়ে গিয়েছে।' কিন্তু তাঁর কথা কেউ শোনেনি।
গত শুক্রবার বুড়ি গণ্ডক নদীর তীরে মহম্মদের দেহ উদ্ধার হয়। কারও কারও দাবি, তাঁকে মেরে পুঁতে দিয়ে গিয়েছে গোরক্ষকেরা। আবার কেউ কেউ বলছেন, মারধর করে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে ১৬ তারিখ থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মহম্মদ। থানায় জানিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, তারপর থেকেই পরিবারের কাছে একাধিক ফোন এসেছিল। তাতেই জানা যায়, মহম্মদ কারোর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। টাকা ফেরত না দিলে মহম্মদের কিডনি কেটে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হচ্ছিল। এরপর নদীর তীর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
এই খবরটি টুইটারে পোস্ট করেছেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতির জন্য এনডিএ জোটকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
রাজশাহীর সময় /এএইচ