হাদিসে মুমিনের ৪টি আমলের ঘোষণা এসেছে। যার দুইটি ঈমানদারের গুণ; যা পালনীয়। আর দুইটি মুনাফেকির গুণ; যা বর্জনীয়। এ আমল ৪টি পালনে মুমিন মুসলমানের মর্যাদা বেড়ে যায়। তাহলো-
১. সব সময় লজ্জা ও সম্ভ্রম রক্ষা করে চলা।
২. অল্প কথা বলা।
৩. অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা।
৪. বেশি কথা না বলা।
একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আত্ম-মর্যাদা রক্ষায় উল্লেখিত ৪ আমলের বিকল্প নেই। যারাই হাদিসের এ ৪টি আমলের উপর অটল থাকবে। সব জায়গায় তাদের মর্যাদা বেড়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা তাদের দান করবেন দুনিয়া ও পরকালের অনন্য মর্যাদা ও সফলতা। এ সম্পর্কে হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ঈমানের দুইটি শাখা-
১. লজ্জা-সম্ভ্রম ও
২. অল্প কথা বলা ।
আর মুনাফেকির দুইটি শাখা-
১. অশ্লীলতা ও
২. বাকপটুতা (বাচালতা)। (তিরমিজি, মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, মিশকাত)
তাই মুমিন বান্দার ৪টি বিষয় স্মরণ রাখা জরুরি-
১. মুমিনের কথা হবে মানুষের কল্যাণে বা মানুষকে বোঝানোর জন্য।
২. মুমিনের নীরব থাকে নিরাপদ থাকার জন্য।
৩. মুমিন একাকি থাকে, কোনো কিছু অর্জন করার জন্য।
৪. আর মুমিন মানুষের সঙ্গে মিশে কোনো কিছু শেখার জন্য।
হাদিসের যথাযথ বাস্তবায়ন ও আমল করতে আল্লাহর কাছে এভাবে প্রার্থনা করা-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَ الْاَدْوَاءِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি তোমার কাছে খারাপ (নষ্ট-বাজে/অশ্লীল) চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা এবং বাজে অসুস্থতা ও নতুন সৃষ্ট রোগ বালাই থেকে আশ্রয় চাই।’ (তিরমিজি)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।