টিকাকরণ ও করোনা বিধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফুটছে কানাডা। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে আন্দোলন। টানা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা বিক্ষোভকে থামাতে এবার রণমূর্তি ধারণ করল সেদেশের পুলিশ।
রাস্তায় ছয়লাপ শয়ে শয়ে পুলিশ। পুলিশকে দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের ধাক্কা দিতে দিতে এলাকা থেকে সরিয়ে দিতে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭০ জন প্রতিবাদীকে। সেই সঙ্গে দাঁড় করিয়ে রাখা ট্রাকগুলিকেও সরানো হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া গিয়েছে, রাজধানী অটোয়ায় পার্লামেন্ট হিলের সামনে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এপিকে পুলিশ কর্তা স্টিভ বেল জানিয়েছেন, সারা দেশেই পুলিশ তত্পর রয়েছে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা ফাঁকা করার কাজে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, 'বেআইনি' আন্দোলন শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ চললেও শিগগিরি পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে চলেছে বলেই দাবি তাঁর।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই করোনার টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত ঘিরে উত্তাল কানাডা। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলনরত হাজার হাজার ট্রাকচালক। সীমান্তে দিয়ে চলাচল করা ট্রাকগুলির চালকদেরও টিকাকরণে বাধ্য করছে কানাডা সরকার, এমন অভিযোগে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। রাজধানী অটোয়ায় পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোনও 'গোপন' আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে কয়েকদিন আগেই প্রতিবাদীদের থামাতে জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেন ট্রুডো। ওই বিক্ষোভকে বেআইনি বলে নিয়মিত দাবি করে আসছিলেন কানাডার একাধিক মন্ত্রী। এবং সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে সরিয়ে দেওয়া হল আন্দোলনকারীদের।
রাজশাহীর সময় /এএইচ