মেক্সিকোয় সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে দেশটির সীমান্তবর্তী শহর তাইজুয়ানার প্রধান সামরিক কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
এদিকে ভিয়েতনাম সরকারের বিরুদ্ধে ১৭০ জনের বেশি মানবাধিকার কর্মীকে নানাভাবে হযরানি এবং গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
দেশে দেশে গণমাধ্যমকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর হত্যা-নির্যাতন থামছেই না। শুধু মেক্সিকোয়ই গত দেড় মাসে হত্যার শিকার হয়েছেন পাঁচ সাংবাদিক। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানাভাবে হয়রানি-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী শহর তাইজুয়ানার সামরিক প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল গণমাধ্যমকর্মী। এ সময় সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্র ম্যানুয়েল লোপেজ সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা আমাদের সহকর্মীদের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাব। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সরকার কী ব্যবস্থা নেয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।’
২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে অন্তত ৫০ সাংবাদিক মারা গেছেন। বিক্ষোভকারীরা এ সময় এসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। গত সপ্তাহ থেকে দেশটিতে সাংবাদিকদের এই বিক্ষোভ বেড়ে যায় যখন তাইজুয়ানায় প্রেসিডেন্টের ছোট ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রতিবেদন করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন দুই সাংবাদিক।
এদিকে ভিয়েতনামের মানবাধিকার কর্মীদের ওপর হয়রানি-নির্যাতনের অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। প্রতিবেদনে ১৭০ জনের বেশি মানবাধিকার কর্মীকে হয়রানি ও গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ২০০৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সরকারের আরোপ করা অসংখ্য বিধিনিষেধের ঘটনা নিয়ে তদন্তের কথাও বলা হয়েছে। তদন্তে সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কর্মীদের দেশের ভেতর ও বাইরে ভ্রমণে বাধা, পাসপোর্ট আটকে রাখাসহ দেশের ভেতর স্বাধীনভাবে চলাচলে বাধার প্রমাণ পায় তারা।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে বিক্ষোভ করেছে একদল পোশাককর্মী। তারা এ সময় সঠিক সময়ে মজুরি না দেওয়াসহ বেতন বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
রাজশাহীর সময় /এএইচ