প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্রে অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের (বিসিজি) প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে বিসিজির ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বিসিজি ডে-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ ও ২০৪০ সালের মধ্যে কোস্ট গার্ডের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতি ও গভীর সমুদ্রে নিরাপত্তা রক্ষায় জাহাজ, সদস্যদের সরঞ্জাম আরো জোরদার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসহ কোস্ট গার্ড একটি উন্নত ও শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হোক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বাহিনীর মূলমন্ত্র হলো ‘সমুদ্রের অভিভাবক’, যার অর্থ উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। অনেক অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করে উপকূলের নিরীহ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কোস্ট গার্ড সসদ্যদের ব্যাপক প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার নিজস্ব জনবল নিয়োগ কর্মকাণ্ড ও বাহিনী পুনর্গঠনের মাধ্যমে বিসিজির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কক্ষপথে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি। এই স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে কোস্ট গার্ডের যোগাযোগ পদ্ধতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা ডিজিটাল পদ্ধতি (স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন) ব্যবহার করে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘এই বাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী করতে আমরা উচ্চ প্রযুক্তির জাহাজ, নৌ নজরদারি পদ্ধতি, হোভারক্রাফট ও উচ্চগতির নৌযান চালু করতে যাচ্ছি।’ এ ছাড়া কোস্ট গার্ডকে আরো চারটি ওপিভি, গভীর সমুদ্রে টহল দেওয়ার জন্য ৯টি প্রতিস্থাপনকারী জাহাজ এবং দুটি মেরিটাইম সংস্করণের হেলিকপ্টার নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।