২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:৪৩:০৭ অপরাহ্ন


২৫ কোটি টাকার বাড়তি ফসল উৎপাদনের আশা
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০২-২০২৩
২৫ কোটি টাকার বাড়তি ফসল উৎপাদনের আশা ২৫ কোটি টাকার বাড়তি ফসল উৎপাদনের আশা


২৫ কোটি টাকার বাড়তি ফসল উৎপাদনের আশা : নীলফামারীতে সেচের আওতায় আসছে ১ লাখ হেক্টর জমি

দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প নীলফামারীর তিস্তা কমান্ড এলাকাগুলোতে পুনর্বাসন ও স¤প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের কাজ চলছে নিরবচ্ছিন্নভাবে। চলমান এ স¤প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হলে উত্তরের জেলা নীলফামারীর ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমি অন্তর্ভুক্ত হবে সেচের আওতায়। এর ফলে বছরে প্রত্যেক রবি মৌসুমে বাড়তি উদপাদন হবে সেচনির্ভর বোরো ধান, আলু, গম, ভুট্টা, সরিষা, গাজর-টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২৫
কোটি টাকার ফসল। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, নীলফামারী অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকা পুনর্বাসন ও স¤প্রসারণ ‘ক্যাড’ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে চলমান রয়েছে দিনাজপুর ক্যানেলের আউটলেট জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১১ দশমিক ৮ কিলোমিটার এস ওয়ান এডি সেকেন্ডারি খালের ৮ ফুট প্রস্থ ডানতীর এবং ১০ ফুট প্রস্থ বামতীর ডাইক বাঁধে ৩৪ হাজার ৬১৫ ঘনমিটার মাটি ভরাট প্রকল্পের কাজ। এছাড়াও ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে করা হচ্ছে একই আউটলেটে নীলফামারী সদর উপজলোর এস টু ডি সেকেন্ডারি খালের ৭ দশমিক ৮ কিলোমিটার ৮ ফুট প্রস্থ ডানতীর এবং ১০ ফুট প্রস্থ বামতীর ডাইক বাঁধে ৩২ হাজার ৫১৭ ঘনমিটার মাটি ভরাট ও সিসি লাইনিং কাজ। এর পাশাপাশি ৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে করা হচ্ছে নীলফামারী সদর উপজেলার এস থ্রি ডি সেকেন্ডারি খালের ৪ দশমিক ৪১ কিলোমিটার ৮ ফুট প্রস্থ ডানতীর ও ৫ ফুট প্রস্থ বামতীর ডাইক বাঁধে ৩১ হাজার ৪৪ ঘনমিটার মাটি ভরাট ও সিসি লাইনিং কাজ।
এদিকে, নীলফামারী সদর উপজেলার টি ওয়ান এস থ্রিডি টার্শিয়ারি খালের ২ দশমিক ০৪ কিলোমিটার ৫ ফুট প্রস্থ ডানতীর ও ৮ ফুট প্রস্থ বামতীর ডাইক বাঁধে ১২ হাজার ২০ ঘনমিটার মাটি ভরাট ও সিসি লাইনিংয়ের কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। অপর দিকে সদর উপজেলার টি টু এস থ্রিডি টার্শিয়ারি খালের ১ দশমিক ৮৫৩ কিলোমিটার পাঁচ ফুট প্রস্থ ডানতীর ও ৮ ফুট প্রস্থ বামতীর বাঁধে ৪ হাজার ৩০ ঘনমিটার মাটি ভরাট ও সিসি লাইনিং কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এছাড়াও ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার টি থ্রি এস থ্রিডি টার্শিয়ারি খালের ২ দশমিক ২৫৫ কিলোমিটার ডানতীর ৫ ফুট প্রস্থ ও বামতীর ৮ ফুট প্রস্থ ডাইক বাঁধে ৮ হাজার ৭৮৫ ঘনমিটার মাটি ভরাট ও সিসি লাইনিং কাজ। এই প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে, ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমি অন্তর্ভুক্ত হবে সেচের আওতায়।
কথা হলে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, নীলফামারীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান প্রধান দৈনিক ভোরের কাগজকে বলেন, নিরবচ্ছিন্নভাবে দ্রুত গতিতে চলছে প্রকল্পের কাজগুলো। আমরা আশা করছি, যথা সময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে শতভাগ তিস্তার সেচ প্রকল্পের পানি পাবেন কমান্ড এলাকার কৃষকরা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, নীলফামারী এর নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার জানান, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ জেলার ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে। বছরে প্রত্যেক রবি মৌসুমে উদপাদন হবে সেচনির্ভর বোরো ধান, আলু, গম, ভুট্টা, সরিষা, গাজর-টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২৫ কোটি টাকার ফসল। এর ফলে জাতীয় র্অথনীতিতে কৃষি সেক্টর ব্যাপক অবদান রাখবে।
জানতে চাইলে, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর উপপরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে নীলফামারী জেলায় তিস্তা ক্যানেলের আওতায় ২৭৯টি আউটলেটে মোট ১০,৮০৫ হেক্টর জমি তিস্তা ক্যানেল সেচ নির্ভও রয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক সেচ মৌসুমে এ জেলার বেশিরভাগ কৃষকই নিজস্ব
অর্থায়নে শ্যালোমেশিনসহ বিভিন্ন উপায়ে স্বীয় জমিতে সেচ প্রদানের মাধ্যমে চাষাবাদ করছেন। তিস্তার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে, সেচ নিয়ে কৃষকদের কোনো দুশ্চিন্তাই থাকবে না। পাশাপাশি কৃষির উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।