মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত করতে অভিবাসন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির উচ্চ আদালত। খবর ফ্রি মালেয়শিয়া টুডের।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান বন্দি খায়রুজ্জামানের পক্ষে স্ত্রী রিটা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২০ মে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি মালয়শিয়ার অভিবাসন আইনে সেলাঙ্গর রাজ্যের আমপাংয়ের একটি বাসা থেকে খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ।
এরপর থেকেই আবারও উঠে আসে তাকে দেশে ফেরত আনার প্রসঙ্গ।
মালয়েশিয়ায় খায়রুজ্জামান এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে খালাস পান। খালাস পাওয়ার পর ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমারের হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফিরতে আহ্বান জানান এবং পরবর্তীতে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।
খায়রুজ্জামান তার জীবনের ঝুঁকি অনুমান করে তিনি কুয়ালালামপুরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) কাছে যান এবং মালয়েশিয়ায় তার অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি পরিচয়পত্র পান।
এদিকে দেশটির আইনজীবী এম রামাচেলভম বলেন, প্রত্যর্পণ আইনের অধীনে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা ১৯৯২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের অধীনে কঠোর প্রয়োজনীয়তা মেনে চলতে হবে এবং সাবেক দূতের ক্ষেত্রে শরণার্থী হিসেবে তাকে তার দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না। প্রান্তিককরণের কারণে যদি কোনও ব্যক্তি তার জীবন বা স্বাধীনতার জন্য হুমকির মুখোমুখি হন তবে সরকারের তাকে ফেরত পাঠানো উচিত নয়।
রাজশাহীর সময় / এফ কে