স্বামীকে ছেড়ে প্রেমে জড়িয়েছিলেন যার সঙ্গে, সেই প্রেমিকের হাতেই খুন হন শাহিদা জাহান সুমি। সন্দেহের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যার ঘটনা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে হালিশহরের রোজউড হোটেলে খুন হওয়া নারীর পরিচয় শনাক্ত ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মূল আসামি সুজনকে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটায় নগরীর হালিশহরে রোজ উড হোটেলে উপস্থিত হন আশরাফুল ইসলাম সুজন। এ সময় কামরুল হাসান নামের অন্য এক ব্যক্তির মিথ্যা পরিচয়পত্র হোটেলে দেখানো হয়। বিকেল চারটায় এক নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে নিয়ে আসেন সুজন। এর দেড় ঘণ্টা পর হোটেল থেকে বের হয়ে যান তিনি। পরে রুম থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
ভুয়া পরিচয়পত্র এবং সিসিটিভি ফুটেজে কারো চেহারা দেখা না যাওয়ায় দুজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়। ভিকটিম শাহিদা জাহান সুমি তিন সন্তানের জননী। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ থাকায় তিন সন্তান নিয়ে হালিশহর বাবার বাসায় থাকতেন। গত দুই বছর ধরে ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সুজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার।
তবে সুমির অন্য কারো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সন্দেহ থেকেই হোটেলে নিয়ে গিয়ে ঘুমের ওষুধ দিয়ে তাকে অচেতন করে সুজন। পরে ছুরি দিয়ে গলা ও পেটে আঘাত করে হত্যা করে হোটেল থেকে বের হয়ে যান তিনি।
সিএমপির হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পরে ঢাকার আশুলিয়া থেকে অভিযান চালিয়ে আসামি সুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরকীয়ার সন্দেহের জেরে রাগ থেকেই পরিকল্পিতভাবে সুমিকে হত্যা করা হয় বলে জানান সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে সুজন।
রাজশাহীর সময় / এফ কে