যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে কংগ্রেসওম্যানের সাহায্য চেয়েছেন নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের নবনিযুক্ত কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং ও মনিরুল ইসলামের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কংগ্রেসওম্যান তাকে স্বাগত জানিয়ে তাঁর নিউ ইয়র্কে কর্মকালীন সময়ের সফলতা কামনা করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
মনিরুল ইসলাম কংগ্রেসওম্যান মেংকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য নয় বরং বাংলাদেশেরও একজন ভাল বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন। কনসাল জেনারেল বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। মনিরুল ইসলামে বলেন বাংলদেশ কমিউনিটি তাদের পেশাগত কাজে যেমন নিষ্ঠাবান ও একাগ্র ঠিক তেমনি তারা চিন্তা ও চেতনায় সৃজনশীল এবং প্রতিভাবান। তিনি উল্লেখ করেন বাংলাদেশ কমিউনিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ করে নিউ ইয়র্কে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে, কংগ্রেসওম্যান মেং মন্তব্য করেন যে তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটিকে নিয়ে গর্ববোধ করেন।
কনসাল জেনারেল মিশন কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস ও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য কংগ্রেসওম্যানকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এ বছরটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর হওয়ায় তা দু’দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ আরো গভীর ও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কনসাল জেনারেল কংগ্রেসওম্যান মেং কে আসন্ন মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান এবং ভাষা আন্দোলনে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে নিউ ইয়র্কে যথোপযুক্ত স্থানে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। কংগ্রেসওম্যান এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কনসাল জেনারেল কংগ্রেসওম্যানের নির্বাচনী এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি এসময় কমিউনিটির কল্যাণে আগামী দিনগুলিতে একসাথে অধিকতর ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে কংগ্রেসওম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কনসাল জেনারেল প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে কংগ্রেসওম্যান মেং কে অবহিত করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
আলোচনাকালে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত উদ্যোগ ও পদক্ষেপসমূহের প্রতি কংগ্রেসওম্যান মেং এর ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পায়। কংগ্রেসওম্যানকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে আলোচনার সমাপ্তি ঘটে।