২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১০:৫১:১৯ পূর্বাহ্ন


ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি নয়, ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০২-২০২৩
ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি নয়, ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন শেষে সুধীসমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি নয়, জনগণের ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে মেট্রোরেল করে দেয়ার কথা বলেছিলাম, সেটা করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ কথা দিলে সেই কথা রাখে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জের পূর্বাচলে পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে সুধী সমাবেশের বক্তব্যে দেন তিনি।

নির্বাচনী ইশতেহারের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিলে তা একে একে রক্ষা করি। ২০০৮ সালে প্রতিশ্রুতি ছিল, ২০২১ সালের মধ্যে রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করব, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আর ২০১৮ সালের ইশতেহারে ছিল ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের জন্য আমরা মেট্রোরেল নির্মাণ করব। আওয়ামী লীগ কথা দিলে সেই কথা রাখে। আমরা সেই কথা রেখেছি।’

আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশের মানুষের উন্নতি হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা সারা বাংলাদেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করেছি বলেই আজ তারা আমাদের ভোট দিচ্ছে। আমাদের কাজের মধ্যদিয়ে আমরা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস পাচ্ছি। তাই জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি।’

বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাহস ও সহযোগিতা নিয়ে পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। এ পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। আমাদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমরা জনগণের সেবা করতে এসেছি, জনগণের সেবক। আমরা জনগণের ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি; তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আসিনি। আমরা জনগণকে দিতে এসেছি, তাই এখানে দুর্নীতির প্রশ্ন আসে না।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেটা সম্ভব হয়েছে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায়। এ কারণে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। এ ছাড়াও ২১০০ সাল পর্যন্ত আমরা ডেলটা প্ল্যান করে দিয়েছি, যেন এই বদ্বীপ জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়। এভাবেই বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এ অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি আর কেউ থামাতে পারবে না।

রাজধানীতে মোট ছটি মেট্রোরেল হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লাইনগুলো করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ফিজিবিলিটি স্টাডিও শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে তিনটি মেট্রোরেল লাইন করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলো হলো এমআরটি-১, এমআরটি-২ এবং এমআরটি-৪।

নারায়ণগঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে অনেক কাজ হচ্ছে। তিনটি ফাস্ট ট্রাকসহ ৪৬টি ছোট বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটা স্পেশাল ইকোনমিক জোন করা হবে, যেটাতে জাপান বিনিয়োগ করছে। এর মাধ্যমে এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নতুন শহর পূর্বাচল গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পূর্বাচল একটি স্মার্ট সিটি হবে। সেই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ শহরকে আমরা স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

এর আগে বেলা ১১টার দিকে রূপগঞ্জের পূর্বাচল সেক্টর-৪-এ দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ফলক উন্মোচনের পর মোনাজাত করেন শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।