২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৯:৪১:২১ পূর্বাহ্ন


রোহিঙ্গা আসা ঠেকাতে বিজিবিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০১-২০২৩
রোহিঙ্গা আসা ঠেকাতে বিজিবিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি ফাইল ফটো


মিয়ানমার সিমান্তের শুন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে আর যাতে কোনো রোহিঙ্গা আসতে না পারে, সে ব্যাপারে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, মো. আব্দুল মজিদ খান, নাবিল আহমেদ এবং নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে 'ইকোনমিক ডিপ্লোমেসিতে' গৃহীত কার্যক্রম, বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের পাসপোর্ট প্রাপ্তিতে বিড়ম্বনা এবং তুরস্কে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যেন আর কোনো রোহিঙ্গা ঢুকতে না পারে, সেজন্য বিজিবিকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠিয়ে সুপারিশ করা হয়।

ইতোপূর্বে কমিটি বৈঠকে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের উপস্থাপিত কর্মপরিকল্পনার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তার প্রতিবেদন এবং অবাস্তবায়িত পরিকল্পনাগুলোর প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে কমিটিতে প্রতিবেদন উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত যেসব রাষ্ট্রদূতের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপিত হয়নি, সেগুলো দ্রুততম সময়ে উত্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়।

যেসব দেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা রোধ করতে সেখানকার বাংলাদেশ মিশনগুলো কী ধরনের ভূমিকা পালন করছে তা কমিটিকে জানাতে বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিশ্বের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময়ের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে তুরস্কের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের উপস্থাপিত কর্মপরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের সুপারিশ করা হয়।