টমেটো, সরিষা, পেঁয়াজ, ভুট্টা, মসলাসহ নানা জাতের শাকসবজি এখন উৎপাদন হচ্ছে খুলনার বন্ধ শিল্পকারখানা, বিভিন্ন সরকারি অফিস, রাস্তার পাশ ও স্কুল-কলেজের চত্বরে। ফলছে নানা রকম ফুল-ফল। শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, সরকারি দপ্তরের কর্মচারী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিচর্যায় অব্যবহৃত আড়াই হেক্টর জমি এখন শস্য-শ্যামল জমিতে পরিণত হয়েছে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। সবজি, চাল-ডাল, আটা থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের দামও এখন আকাশচুম্বী। এই মন্দা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবাদযোগ্য সব জমিতেই চাষ করতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই কথার সূত্র ধরেই খুলনার সরকারি অফিস চত্বর, পাটকল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সরকারি অফিসের চত্বরে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় খুলনার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানে এই চাষাবাদ চলছে। এতে উৎপাদিত ফসল প্রতিদিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে একটু হলেও রক্ষা করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, খুলনা মহানগরীসহ জেলার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানে দুই দশমিক ৫ হেক্টর জমিতে এই চাষাবাদ শুরু হয়েছে। উৎপাদন হবে প্রায় ৩ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন ফসল।