যমুনা নদীর বুকে নির্মাণ করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। মোট ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুর মধ্যে ১.০৯ কিলোমিটার মূল কাঠামো এখন নদীর ওপর দৃশ্যমান।
এখন পর্যন্ত মোট ৪৯টি স্প্যানের মধ্যে ১০টি স্প্যানের কাঠামো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর ৫০টি পিলারের মধ্যে ১৫টি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলেন, এখন পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৩ শতাংশ। রেলসেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি পণ্যপরিবহনে গতি আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এর নির্মাণ শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী আর কর্মীদের রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রমে চলছে সেতুর পাইলিং ও সুপার স্ট্রাকচার বসানোর কাজ। এরই মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ নম্বর পিলার পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১০টি স্প্যান। আর ৫০টি পিলারের মধ্যে ১৫টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৩ শতাংশ। এছাড়া সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি নদীর দুপাড়ে সমান তালে এগিয়ে চলেছে মাটি ভরাট ও নতুন সংযোগ লাইন বসানোর কাজ।
এদিকে সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য্য বলেন, রেলসেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যপরিবহনেও গতি আসবে। এতে অনেকটা সহজ হবে পণ্যপরিবহন।
প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ ২০২৪ সালের জুনে হলেও কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। জাপান ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে প্রায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলসেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জাইকা।