সরকার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৫ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি আজ রবিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের টেবিলে উপস্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, ২ হাজার ৬শ’ শয্যার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে। এর ফলে এই হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে কিছুটা অসুবিধা হয়। তবে সরকার রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ডিএমসির শয্যা ৫ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
সরকারি দলের অপর সদস্য কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, দেশে ৫ হাজার ৫৮৯টি অনুমোদিত ক্যাডার পদের বিপরীতে শূন্য পদ ২ হাজার ৬০৫টি। সংযুক্ত হিসাবে কর্মরত রয়েছেন ১ হাজার ৩৬৯ জন।
তিনি জানান, বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না। মেডিক্যাল কলেজের প্রভাষক পদে মেডিক্যাল অফিসার থেকে বিষয়ভিত্তিক পদায়ন করা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে বেসিক বিষয়ে চলতি দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে ৩৬৯ জনকে সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে পদায়ন করা হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্বমোট শয্যা সংখ্যা ১৯ হাজার ৩০০টি। উপজেলা হাসপাতালগুলো পরিচালনার জন্য ওষুধপত্রসহ এমএসআর খাতে বেড অকুপেন্সি রেট অনুয়ায়ী রাজস্ব বাজেট থেকে বছরে টাকা বরাদ্দ করা হয়ে থাকে এবং বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে ৭০ শতাংশ টাকা ওষুধ বাবদ ব্যয় করা হয়। উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে ৪২৯ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, সরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ফি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে টিউশন ফি নির্ধারণের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা অনুসরণ করে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নির্ধারণ করে থাকে। এ বিষয়গুলো মনিটরিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।