২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৪:২০:১৬ পূর্বাহ্ন


প্রধানমন্ত্রী ২৬ জানুয়ারি পাতালরেল নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০১-২০২৩
প্রধানমন্ত্রী ২৬ জানুয়ারি পাতালরেল নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন ফাইল ফটো


দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি এমআরটি-১ এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার রাতে প্রকল্প পরিচালক আবুল কাশেম ভূঁইয়া সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেলের (এমআরটি-১) বিমানবন্দর-কমলাপুর অংশ নির্মিত হবে মাটির নিচে। নতুনবাজার-পূর্বাচল অংশ হবে উড়াল।  

এমআরটি-১ এর ডিপো নির্মাণে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রায় ৯৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ৩১ শতাংশ জমির দখল বুঝে পেয়েছে মেট্রোরেলের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএল। তাতে মাটি ভরাটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ২৬ জানুয়ারি নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

সরকারের প্রধানের কর্মসূচি বাস্তবায়নে আগামীকাল সোমবার সড়ক পরিবহন সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভা হবে পূর্বাচলে। সূত্র জানিয়েছে, উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। যা আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ। সরকারি আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করবেন।

১১টি প্যাকেজে এমআরটি-১ এর নির্মাণ হবে। প্রথম প্যাকেজে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন হবে। গত ২৩ নভেম্বর এই প্যাকেজের ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটির এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ দেবে। বাকি ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা জোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার।

এমআরটি-১ এর ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার বিমানবন্দর-কমলাপুর অংশের ১২টি স্টেশনও নির্মিত হবে মাটির নিচে। স্টেশন হবে বিমানবন্দর, টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, নদ্দা, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, আফতাবনগর, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ এবং কমলাপুর।

টানেল বোরিং মেশিনে (টিবিএম) দুই দিক থেকে মাটির নিচে রেলপথ নির্মিত হবে। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, চারটি প্যাকেজে টানেল তৈরি হবে। সেগুলোর প্রাক যোগ্যতার আবেদন আহ্বান হয়েছে। এরপর হবে দরপত্র আহ্বান। ঠিকাদার নিয়োগের পর টানেল নির্মাণের কাজ হবে।

প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি টিবিএম দিনে ১০ মিটার টানেল খননে সক্ষম। সুরঙ্গ খননের সঙ্গে সঙ্গে কংক্রিট স্ল্যাব বসিয়ে তৈরি হবে টিউব। এর ভেতরে তৈরি ডাবল রেললাইনে চলবে চলবে ট্রেন। তবে স্টেশন তৈরি হবে ওপেন কাট পদ্ধতিতে। নির্মাণের পর মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে। স্টেশনে নামতে থাকবে সিঁড়ি।

এমআরটি-১ এর আরেকটি অংশ নির্মিত হবে নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত। গত ২৮ ডিসেম্বর চালু হওয়া দিয়াবাড়ি-আগারগাঁও লাইনের (এমআরটি-৬) মতো ভায়াডাক্টের (উড়ালপথ) ওপর নির্মিত হবে এই অংশ। নতুন বাজারে হবে দুই অংশের ইন্টারচেইঞ্জ। ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল অংশ পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কের ওপর নির্মিত হবে। নতুন বাজার, নদ্দা, জোয়ার সাহারা, বোয়ালিয়া, মস্তুল, শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব, পূর্বাচল টার্মিনাল, পিতলগঞ্জে থাকবে ৯টি এলিভেটেড স্টেশন।

প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালে চালু হবে এমআরটি-১। এতে ২৫টি ট্রেন দিনে আট লাখ যাত্রী পরিবহন করা হবে। আট বগির ট্রেনগুলো ধারণ ক্ষমতা তিন হাজার ৮৮ জন। ২৪ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর, কমলাপুর থেকে ৪০ মিনিটে পূর্বাচল এবং ২০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচলে যাবে ট্রেন।