প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটি শক্তিশালী রেকর্ড তৈরি করেছে। বিশেষ করে তার অধীনে কর্মক্ষম জনশক্তির বিস্তার বা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, শক্তিশালী তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি, স্থিতিশীল রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং সামষ্টিক-অর্থনৈতিক অবস্থা গত ২০ বছরে বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করছে। এশিয়ান লাইট ইন্টারন্যাশনালের বরাত দিয়ে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইতে এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে নতুন নতুন ফ্লাইওভার, সেতু এবং বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উল্লেখযোগ্য রূপান্তর ঘটেছে। পদ্মা নদীর ওপর গত ২৫ জুন উদ্বোধন হয়েছে ৬.১৫ কিলোমিটার রেল ও সড়ক সেতু। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার
পর নির্মিত দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম অবকাঠামো। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার সর্বকনিষ্ঠ এ দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এই অঞ্চলে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে চলে এসেছে। তার অধীনেই অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ নিম্নআয় এবং স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
একসময় বাংলাদেশ শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্যই ঘন ঘন আন্তর্জাতিক খবরে আসত। কিন্তু বর্তমানে এই দেশ লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের ভেতর থেকে বের করে এনেছে। শুধু তা-ই নয়, গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে গেছে ৬.৬ শতাংশেরও বেশি। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দশ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশ দিয়েছে আশ্রয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। একই সঙ্গে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দশটি শীর্ষ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশও। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস বলেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৮তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে পারে।
শিল্প সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১০ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন প্রণয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ের ভূয়সী প্রশংসা করা হয় প্রতিবেদনে।