বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মাণাধীন আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মার্চ মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ইতোমধ্যে ডেডিকেটেড সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।’
চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতের আদানি কোম্পানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মাণাধীন আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মার্চ মাসে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ইতোমধ্যে ডেডিকেটেড সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে এখানকার বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চের মাঝামাঝি পাওয়া যেতে পারে। আগামী গ্রীষ্মের চাহিদা পূরণে আরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। জ্বালানির বিকল্প উৎসও আমরা খুঁজছি। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি আমরা।’
বিদ্যুৎ বিভাগ ও আদানি পাওয়ার লিমিটেড, ইন্ডিয়ার মধ্যে ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর আওতায় আদানি পাওয়ার লিমিটেড ভারতের ঝাড়খণ্ডে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
ঝাড়খণ্ডের এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ডেডিকেটেড সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় দুটি সাবস্টেশন ও অন্যান্য সঞ্চালন কাজ নির্মাণ করেছে পাওয়ার গ্রিড অফ বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।