চাল আমদানিতে শুল্ক সুবিধার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়াল সরকার। ফলে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেদ্ধ চাল ও আতপ চালে আমদানি শুল্ক অব্যাহতি এবং পাঁচ শতাংশ হারে রেগুলেটরি ডিউটির সুবিধা পাবেন ব্যবসায়ীরা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর এ সুবিধা শেষ হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল।
বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যা সরকারি গেজেট হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, ছাড়ের আওতায় চাল আমদানি করতে হলে প্রত্যেক চালানের জন্য অবশ্যই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, চাল আমদানি বাড়ানো এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে এনবিআর শুল্ক প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়িয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, সরকার চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে এসেছে মাত্র তিন লাখ ৫৩ হাজার টন চাল।
খুলনার চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইয়ান ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী খায়রুল হাসান বলেন, শুল্ক সুবিধার সময় বাড়িয়ে তেমন লাভ হবে না। কারণ, ব্যাংকে এলসি খোলা দুষ্কর। আমদানি বাড়ানোর জন্য এলসি খোলার বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে।
চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে প্রথম দফায় আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের মধ্যে আমদানির আগ্রহ না থাকায় সরকার শুল্ক্ক কমানোর উদ্যোগ নেয়। বর্তমানে চাল আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর এবং ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক রয়েছে।