প্রশাসনের শীর্ষ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব পদে শিগগির রদবদল আসছে। দেখা যাবে নতুন মুখ। গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি পদে পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনে আরও বেশ কয়েকটি রদবদল হবে।
আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একাধিক প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। কোনো কারণে বিলম্ব হলে সোমবারের মধ্যে জারি হবে। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মনি্ত্রপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর তাকে আগের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ধারাবাহিকতায় ২ বছরের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। যা কার্যকর হয় ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর। এ হিসাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ না বাড়লে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের শেষ কর্মদিবস হবে ১৫ ডিসেম্বর।
তার চুক্তির মেয়াদ আরও ১ বছর বাড়ানো হতে পারে বলে কিছুদিন থেকে প্রশাসন পাড়ায় জোর গুঞ্জন ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ না বাড়িয়ে নতুন মনি্ত্রপরিষদ সচিব হিসাবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারকে নিয়োগ দেওয়ার সবুজ সংকেত মিলেছে। এভাবে সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের এ কর্মকর্তা বর্তমানে নিয়মিত চাকরিতে আছেন। তবে তার চাকরির মেয়াদও বেশিদিন নেই। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে মহাপরিচালক (প্রশাসন) পদে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত জ্যেষ্ঠ সচিবদের মধ্যে তিনি শীর্ষে অবস্থান করছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগের প্রথা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাকে ২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। যা ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। এ হিসাবে তার শেষ কর্মদিবস ৩১ ডিসেম্বর হলেও তিনি ৭ ডিসেম্বর দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন। এর আগে চুক্তির মেয়াদ ২ মাস বাকি থাকতে নভেম্বরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে চেয়েছিলেন। তবে নানা কারণে তা বিলম্বিত হয়।
রিলিজ অর্ডার পাওয়া সাপেক্ষে শিগগির তিনি স্বেচ্ছায় মুখ্যসচিবের পদ ছেড়ে দেবেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো যুগান্তরকে এমনটি জানিয়েছে। ফলে এ পদেও পরিবর্তন আসছে। সচিবালয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ১৯৮৬ ব্যাচের একজন সিনিয়র সচিবকে মুখ্যসচিব হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার গুঞ্জন থাকলেও সেটি এখন অনেকটা অনিশ্চিত। শেষ পর্যন্ত ৯ম ব্যাচের একজন সিনিয়র সচিবকে মুখ্য সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এমন খবর অনেকটা নিশ্চিত।
সূত্রমতে, এ রদবদলকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও নতুন মুখ দেখা যাবে।