চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের সভাস্থল থেকেই ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পরপরই সমাবেশস্থলে পৌঁছান তিনি। এসময় ফুল ও করতালির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন দলের নেতাকর্মীরা। এরপর সভাস্থল থেকেই তিনি এসব উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে—নদী ও সমুদ্রের তীরে বাঁধ, বিদ্যালয় ভবন, মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, নারীদের জন্য আবাসন, প্রশিক্ষণ ভবন ইত্যাদি।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে—চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি ও রাউজানে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাসিরাবাদে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণ দপ্তর সংস্কার ও আধুনিকায়ন, নগর ও উপজেলার ১৪টি বিদ্যালয়ের ভবন, মিরসরাই ও লোহাগাড়ায় ১০ শয্যার মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, হর্টিকালচার সেন্টারের প্রশিক্ষণ ও অফিস ভবন ইত্যাদি।
এর আগে দুপুর ১২টায় স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হয় জনসভার আনুষ্ঠানিকতা।
স্থানীয় নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমাদের জনগণের ক্ষমতার উৎস হচ্ছে নৌকা। নৌকা ছাড়া বাঙালির আর কোনো বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে কার্যকর ও সংগঠিত শাখা। দলের সব ক্রান্তিকালে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মাঠে ছিল।
তারা বলেন, আবারও প্রমাণ করার সময় এসেছে যে, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত। বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র স্বার্থকে পরিহার করার আহ্বান জানান তারা।
এদিকে জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত পোস্টার-ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলা থেকে বাস ও ট্রাকযোগে লোকজন আসতে শুরু করে।
এক এক এলাকার কর্মীদের এক এক রঙের টি-শার্ট পরে আসতে দেয়া যায়; এর মধ্যে লাল রঙের টি-শার্টে পটিয়া, কমলা রঙের টি-শার্টে সন্দ্বীপ, গোলাপি রঙের টি-শার্টে রাউজান। এমনকি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন রঙের পোশাক পরে আসেন জনসভায়।