বাংলাদেশের নৌপরিবহণ সেক্টরকে আরও আধুনিক, যুগোপযোগী ও পরিবেশ বান্ধব করার জন্য যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার লন্ডনে ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রণালয়ের এভিয়েশন, মেরিটাইম ও সিকিউরিটি বিষয়কমন্ত্রী ব্যারনেস ভেরি অফ নরবিটন এর সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আহ্বান জানান।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ টেকনিক্যাল কোঅপারেশন এইড-এর সহযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশে মেরিন একাডেমির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিমন্ত্রী দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশের নৌপরিবহণ সেক্টরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিশেষত বাংলাদেশি নাবিকদের সার্টিফিকেট অফ কম্পিটেন্সির মিউচুয়াল রিকগনিশন-এর জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়াও বাংলাদেশি নাবিকদের যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বন্দরে অন এরাইভাল ভিসা প্রদানের জটিলতা দূর করার অনুরোধ জানান।
বৈঠকে ব্রিটিশমন্ত্রী বাংলাদেশের নৌপরিবহণ সেক্টরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগসমূহের বিশেষ করে বাংলাদেশের ১৬ হাজার নাবিক এবং ১৪টি মেরিন ইনস্টিটিউট থেকে বছরে পাঁচ হাজারের বেশি মেরিনার এবং একশ মহিলা মেরিনারের উপস্থিতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। ব্রিটিশ মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এছাড়াও দুই মন্ত্রী দু’দেশের মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের মধ্যে গবেষণা ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দুই মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মেরিটাইম সেক্টরে ডিকারবোনাইজেশনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. নিজামুল হক উপস্থিত ছিলেন। নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের ১২৮তম কাউন্সিলে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্য সফর করছেন