চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মোট পোশাক আমদানির ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশই ছিল বাংলাদেশের। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ‘ইউরোস্ট্যাট ইইউ’র আমদানির সবশেষ পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এ তথ্য।
ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) ইইউ বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ছিল। আট মাসে ইইউর পোশাক আমদানিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ থেকে ১৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ। যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৬৭ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট পোশাক আমদানির ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ নিয়ে ইউরোপের পোশাক আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে। চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির প্রধান শীর্ষস্থানীয় উৎস এবং ২৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
২০২২ সালের জানুয়ারি-আগস্টে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ১৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির তৃতীয় বৃহত্তম উৎস তুরস্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
একই সময়ে ইইউ ভারত থেকে ৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। ভারত থেকে ইইউর আমদানি আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্য শীর্ষ দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া ৪২ দশমিক ২১ শতাংশ, পাকিস্তান ৩১ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়া ৩৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল জানান, ইউরোপের বাজারে চীনের পরই বাংলাদেশ তার অবস্থান ধরে রেখেছে। এসময় আমাদের দেশ থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে এবং সামগ্রিকভাবে ইউরোপের আমদানিও বেড়েছে। চীনের ১৮ বিলিয়ন ডলার আর বাংলাদেশের ১৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ইউরোপে। আগস্ট পর্যন্ত আমরা ভালো অবস্থানে ছিলাম। এরপরই কিন্তু মন্দার দিকে গিয়েছিল রপ্তানি সেটাও ভুলে গেলে চলবে না। এখন সামনের দিকে দেখতে হবে, আগামীর পরিস্থিতি বুঝেই বলা যাবে।