ঋণ নেওয়ায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তিন ব্যাংক থেকে কেলেঙ্কারির ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে দুদক ও বিএফআইইউ'র কাছে তদন্ত চেয়ে চিঠি দেন ৫ জন আইনজীবী।
এ বিষয়ে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন, `চিঠি আমার হাতে এখনো পৌঁছায়নি। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংবাদটি পাওয়ার পরে যাতে অনুসন্ধান শুরু করা যায় সেই লক্ষ্যে তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হলে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তীকালে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোর অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। নানা উপায়ে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ বের করে নেওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ও বাকি অর্থ সোশ্যাল ইসলামী ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেওয়া হয়। যেসব কোম্পানির নামে এসব ঋণ বের করা হয় তার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ঋণ নিয়েছে। যেগুলো মূলত নামসর্বস্ব কোম্পানি। এ রকম নামসর্বস্ব দুই কোম্পানির নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেওয়া হয় দুই হাজার কোটি টাকা।
গত বুধবার এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলে আইনজীবী শিশির মনিরকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো সংযুক্ত করে রিট আবেদন করতে বলেন হাইকোর্ট।