চলতি মাসে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে এ মাসের শেষ সপ্তাহে এসব মডেল মসজিদ উদ্বোধন হবে। এছাড়া আগামী ফেব্রæয়ারি মাসের শেষদিকে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে যারা দায়িত্ব পালন করেন তারা প্রশিক্ষিত নয় এবং প্রয়োজনে কাউকে পাওয়া যায় না। তিনি মক্কা ও মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের যে সব ছাত্ররা আছেন তাদের প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, সরকারকে হজের খরচ দিতে হয়। আবার ওখানে সরকারি রেট অনুযায়ী পেমেন্ট করতে হয়। যারা হজ করতে ইচ্ছুক তাদের হজে পাঠানো হয়।
প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের অগ্রগতি প্রতিবেদন বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১০ জুন ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়। নির্মাণকাজ চলছে আরও ২৮৬টির। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আরও ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করা হবে। আরও ৫০টি মডেল মসজিদ আগামী বছরের ফেব্রæয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে উদ্বোধন করা হবে। প্রতিবেদনে ২৮৬টি মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের বাস্তব অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ভিতের কাজ চলমান আছে ৮৯টির, গ্রেড বিমের ঢালাই হয়েছে আটটির, নিচ তলার কলাম ঢালাই হয়েছে ৪৭টির, প্রথম তলার ছাদ ঢালাই হয়েছে ৪২টির, দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই হয়েছে ২৯টির, তৃতীয় তলার ছাদ ঢালাই হয়েছে ৫৯টির ও চতুর্থ তলার ছাদ হয়েছে ১২টির।
এদিকে কমিটির আগের বৈঠকে সউদী আরবে হাজিদের তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ না থাকা এবং প্রয়োজনে পাওয়া না যাওয়াসহ নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। পরে কমিটি ভবিষ্যতে হাজিদের তদারকির জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং কাজের অভিজ্ঞতা যাচাই করে পাঠানোর সুপারিশ করে। অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা প্রণয়নের জন্য সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির কাজ চলমান রয়েছে। একই প্রতিবেদনে হজ ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণলায়ের অধীনে পৃথক বিভাগের সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। এ সুপারিশ আলোচনা ও পর্যালোচনা পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানায়। কার্যক্রম গৃহীত হলে পরবর্তীতে কমিটিকে জানানো হবে। স্বাস্থ্যকর্মী যাদের পাঠানো হয় তাদের সেবা কার্যক্রম সঠিকভাবে পাওয়া যায়নি। সেখানে শ্বাসকষ্টের রোগী বেশি থাকলেও একজন চিকিৎসকও ছিল না ওই রোগের। কেমিস্ট নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যারা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উপযুক্ত নয়, এ রকম অনেক ক্যাটাগরির লোক নেওয়া হয়েছে।
সঠিকভাবে হাজীদের থাকা-খাওয়া এবং স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার বিষয়ে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা তৈরির জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জানানো হয়। হজের সময় যেসব এজেন্সি এক কিলোমিটারের মধ্যে বাড়িভাড়া করার নির্দেশনা মানেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠবকে উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, সৈয়দ নজিবুল বশর