২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৪৯:৫০ পূর্বাহ্ন


জাতিসংঘ শান্তিপদক পেলেন বাংলাদেশের ১৪০ শান্তিরক্ষী
Ibrahim Hosen Somrat
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১১-২০২২
জাতিসংঘ শান্তিপদক পেলেন বাংলাদেশের ১৪০ শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিপদক পেলেন বাংলাদেশের ১৪০ শান্তিরক্ষী


মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের ১৪০ জন সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিপদক দেওয়া হয়েছে। তাদের পদক পরিয়ে দেন মালির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পুলিশ প্রধান, পুলিশ কমিশনার জেনারেল বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগানি।

এ উপলক্ষে ব্যান এফপিইউ-২ আয়োজিত মেডেল প্যারেড ও শান্তিপদক প্রদান অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন মিনুস্মা হেড কোয়ার্টার্সের এফপিইউ কো-অর্ডিনেটর হাম্মানজাবু স্যামুয়েল, তিন্বুক্তো রিজিওয়েনর রিজিওনাল কমান্ডার সানাও দিওফ, রিজিওনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার, ডেপুটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জাবেদ আসলাম ও মিলিটারি কন্টিনজেন্টের কমান্ডাররা। এ ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন, মেয়র ও জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি জেনারেল বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগানি তার ডেলিগেশন টিমসহ রাজধানী বামাকো হতে ১২০০ কিলোমিটার দূরে মিনুসমা গুন্দাম ক্যাম্পের হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। ব্যানএফপিইউ-২ এর কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে যান।

সেখানে প্যারেড কমান্ডার ব্যানএফপিইউ-২ এর অপারেশনস্ অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম ও বর্ণিল প্যারেড প্রদর্শন করেন। মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শনী শেষে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের ১৪০ জন পুলিশ সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক দেওয়া হয়।

মালিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিনুসমা ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পদক দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে প্রতিকূল পরিবেশেও অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ পরিচালনা করে স্থানীয় জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে ব্যানএফপিইউ-২ এর অপারেশনাল কর্মকান্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম যেমন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন, বিনা মূল্যে ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণ, স্কুলে শিক্ষা সামগ্রী ও মসজিদে উপহার সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন মানবিক সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ ও তাদের দক্ষতা এবং পেশাদারত্বের প্রশংসা করেন।

ব্যানএফপিইউ-২ (রোটেশন-৪) এর কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পেশাদারত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা এবং নিষ্ঠা নিয়ে পালন করেছেন। তিনি মিনুসমা কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

বক্তব্য শেষে তিনি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক ডিসপ্লে উপভোগ করেন। এরপর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে ব্যানএফপিইউ-২ এর কমান্ডার প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক ও উপহার প্রদান করেন।